Advertisement
Advertisement

উৎসবমুখর শহরে প্রতারণার ফাঁদ, বন্ধুত্বের প্রলোভনে টাকা হাতাচ্ছে সুন্দরীরা

সতর্ক থাকুন।

Rampant flesh trade sounds alarm bell in Kolkata
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:December 26, 2017 3:15 pm
  • Updated:December 26, 2017 3:15 pm

অর্ণব আইচ: শীতে সুন্দরীদের উষ্ণতার হাতছানি। কখনও বা দেওয়ালে পোস্টার সাঁটিয়ে, আবার কখনও ‘বন্ধুত্বে’র ডাকের আড়ালে। কিন্তু সাবধান। এই বন্ধুত্বের আড়ালেই রয়েছে প্রতারণার চক্র।  সুন্দরীদের দিয়ে ‘বডি ম্যাসাজ’ করানোর লোভেও ফাঁদে পড়ে যেতে পারেন আপনি। শীতের উৎসবের শহর জুড়ে জাল বিছিয়েছে সুন্দরী প্রতারকরা। বিভিন্ন জায়গায় মধুচক্রের হদিশ পেয়েছে পুলিশ। চলছে ধরপাকড়ও।

[বর্ষবরণের টানে চোরাপথে এ রাজ্যে ঢুকছে বাংলাদেশি বারবনিতারা]

Advertisement

লালবাজারের গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, কলকাতার একাধিক এলাকায় কল সেন্টারের আড়ালে চলছে মধুচক্র। সুন্দরী ‘কলার’  টোপ দিয়ে খদ্দেরদের ফ্ল্যাটে ডেকে আনছেন। হোয়াটসঅ্যাপ করে সুন্দরীদের ছবিও পাঠানো হচ্ছে। রীতিমতো ক্যাটালগ দেখে সুন্দরীদের পছন্দ করছেন খদ্দেররা। কত নম্বর সুন্দরীকে পছন্দ,  তা জানিয়েও দিচ্ছেন হোয়াটসঅ্যাপে।এর পর খদ্দেরদের জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে, কোন ঠিকানায় আসতে হবে। খদ্দেরের পছন্দমতো সুন্দরীকে উপস্থিত থাকতে বলে হচ্ছে ফ্ল্যাটে। এভাবেই শহরের বুকে রমরমিয়ে চলছে মধুচক্র।

Advertisement

[ফের শহরে বহুতলে আগুন, ভরদুপুরে আতঙ্ক ডালহৌসিতে]

শহরের বিভিন্ন জায়গায় সাঁটানো হয়েছে পোস্টার। কোথাও বা আমন্ত্রণ জানাচ্ছে রিমি। কোথাও বা শিনা। তাদের উষ্ণ আমন্ত্রণে বডি ম্যাসেজ অথবা ‘ফুল স্যাটিসফ্যাকশন’—এর হাতছানি। নিচে দেওয়া গোটা দুই মোবাইল নম্বর। আবার কখনও বা মোবাইলে আসছে মেসেজ। সুন্দরীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চাইলে বিশেষ মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হচ্ছে। এ ছাড়াও রয়েছে ‘ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বে’র বিজ্ঞাপন। এমনকী, মনের মতো সুন্দরী বান্ধবী বেছে নিয়ে শীতের ছুটিতে দু’একদিন বাইরে কাটানোর টোপও দেওয়া হয়েছে কিছু জায়গায়। লালবাজারের গোয়েন্দারা জানিয়েছেন,  নির্দিষ্ট মোবাইল নম্বরে ফোন করলে প্রথমে বলা হচ্ছে কিছু টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে। সেই টাকা পাঠাতে হবে একটি বিশেষ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। এর পর বলা হয় মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য আরও কিছু টাকা পাঠাতে। এরপর সুন্দরীদের আগাম ‘বুক’ করার জন্য আরও টাকা চাইছেন মধুচক্রের কারবারীরা। আর সেই টাকা হাতে আসার পরই, খদ্দেরদের আর কোনও যোগাযোগ করা হচ্ছে না। উলটে, টাকা দিতে না রাজি না হলে মিলছে কুকীর্তির ফাঁসের হুমকি। এমনকী, কখনও কখনও সুন্দরীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে ছবি তুলে ব্ল্যাকমেল করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা।  সুতরাং সতর্ক থাকুন। ক্ষণিক সুখের যেন প্রতারিত হতে না হয়।

[শহরে কমপিউটর চালিত টিকিট সংরক্ষণ ব্যবস্থার ৩০ বছর পূর্তি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ