স্টাফ রিপোর্টার: কঠিন লড়াইয়ের অবসান! বিরল রোগের ব্যয়বহুল ইঞ্জেকশন পেল রানাঘাটের ছোট্ট অস্মিকা দাস। পূর্ব ভারতের প্রথম শিশু সবচেয়ে ব্যয়বহুল জিনথেরাপি জোলজেনসমা-র সাহায্য পেল সাধারণ মানুষের অনুদানের সংগৃহীত অর্থে। মাত্র ৭ মাসে দেশ-বিদেশের প্রায় ৬৫ হাজার মানুষের সহযোগিতায় অস্মিকার জন্য ৯ কোটিরও বেশি টাকা উঠেছে। মেরুদণ্ড সংক্রান্ত বিরল রোগ স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রপিতে আক্রান্ত সে। এই ইঞ্জেকশন পাওয়ার পর ধীরে ধীরে সে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে বলেই আশাবাদী আপমর রাজ্যবাসী।
রানাঘাটের দাসপাড়ার বাসিন্দা অস্মিকা। প্রায় একবছর আগে ১৬ মাসের শিশুটির বিরল রোগ ধরা পড়ে। স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রপিতে ভুগছে সে। এই রোগে আক্রান্ত হলে হাত-পা ও অন্যান অঙ্গ কাজ করা বন্ধ হয়ে যায়। স্নায়ু ধীরে ধীরে বিকল হতে শুরু হয়। যার একমাত্র ওষুধ একটি ইঞ্জেকশন। আপমর রাজ্যবাসীর কাছে সেই চিকিৎসা খরচ চালানোর জন্য সাহয্য চান তার মা-বাবা। এক হয়ে রাজ্য। শুধু রাজ্য নয় দেশ-বিদেশ থেকে টাকা পাঠিয়েছে অনেকে। মাসে দেশ-বিদেশের প্রায় ৬৫ হাজার মানুষের সহযোগিতায় ৯ কোটির বেশি টাকা ওঠে। মিলল ইঞ্জেকশন। ওই ইঞ্জেকশন প্রস্তুতকারী সংস্থাও কিছুটা ছাড় দিয়েছে। অস্মিকার বাবা শুভঙ্কর দাসের কথায়, মেয়ের চিকিৎসার খরচ চালানো অসম্ভব ছিল। আমজনতা সাহায্য না করলে মেয়েকে বাঁচাতে পারতাম না।
কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে সফলভাবে সেই ইঞ্জেকশন প্রয়োগ করা হয়েছে। ওই হাসপাতালের বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিশু বিশেষজ্ঞ এবং নার্সিং টিমের তত্ত্বাবধানে এই জিন থেরাপি সফলভাবে প্রয়োগ করা গিয়েছে। চিকিৎসার দায়িত্বে ছিলেন ডা. সংযুক্তা দে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.