অর্ণব আইচ: আর জি কর হাসপাতালের মর্গের এক কর্মীর গাফিলতিতেই নির্যাতিতার ডিএনএ পরীক্ষায় অন্য এক মহিলার ডিএনএ-র ‘উপস্থিতি’ সামনে আসে। বিচারপর্ব চলাকালীন এই ডিএনএ রিপোর্ট দেখে সঞ্জয় রায়ের আইনজীবীরা দাবি করেছিলেন, একাধিক ব্যক্তি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল। তাই পুরো ঘটনার ফের তদন্তের প্রয়োজন। যদিও ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্টের ভিত্তিতে আদালতের মন্তব্য, ডিএনএ রিপোর্ট দেখে এটা স্পষ্ট যে, সঞ্জয় রায় একমাত্র খুন ও ধর্ষণের পিছনে রয়েছে। এর পিছনে অন্য কেউ থাকার প্রসঙ্গ সহজেই উড়িয়ে দেওয়া যায়।
এই ব্যাপারে আদালত নির্দেশে জানিয়েছে, নির্যাতিতার ডিএনএ পরীক্ষার জন্য তাঁর বক্ষস্থল থেকে লালারস সংগ্রহ করে কেন্দ্রীয় ফরেনসিকে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তের ভিডিও দেখে এটা প্রমাণিত যে, মর্গে নির্যাতিতা ছাড়াও অন্য কয়েকজন মহিলার দেহ রাখা ছিল। এ ছাড়াও যে ট্রেতে নির্যাতিতার দেহ রাখা ছিল, সেটি আগে জীবাণুমুক্ত করা হয়নি। আবার মর্গের যে কর্মী এই দেহ থেকে সোয়াব সংগ্রহ করছিলেন, তিনি গ্লাভস ও পোশাক বা অ্যাপ্রন পাল্টাননি।
ময়নাতদন্তের সময় যে কাঁচি, ছুরি ব্যবহার করা হয়, সেগুলিও জীবাণুমুক্ত করা হয়নি। সেই ক্ষেত্রে বলা যায়, মর্গে ময়নাতদন্তের সময় প্রয়োজনীয় প্রোটোকল মেনে চলা হয়নি। মর্গে খারাপ পরিকাঠামো থাকার কারণেই তা হয়েছে। ভিডিও দেখে স্পষ্ট যে, মর্গে ডিএনএ ‘কন্টামিনেশন’ বা দূষণ হওয়া সম্ভব। কিন্তু তার জন্য কোনও চিকিৎসককে দোষ দেওয়া যায় না বলে জানিয়েছে আদালত। আদালতের মতে, এটা স্পষ্ট যে ডিএনএ রিপোর্ট দেখে বোঝা গিয়েছে, ওই লালারস সঞ্জয় রায়ের। আর তা দেখে প্রমাণিত যে, একমাত্র সঞ্জয় রায় নির্যাতিতার দেহের সংস্পর্শে এসেছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.