গত আগস্ট থেকে অভয়া কাণ্ডে উত্তাল বাংলা। গত শনিবার ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করেছে শিয়ালদহ আদালত। ওইদিনই বিচারক জানিয়েছিলেন, সোমবার হবে সাজা ঘোষণা। এদিন সঞ্জয়ের বক্তব্য শুনবেন বলেও জানিয়েছিলেন বিচারক অনির্বাণ দাস। সেই মতোই এদিন ঘড়ির কাঁটায় দুপুর ১২ টা বেজে ৪২ মিনিটে কাঠগড়ায় তোলা হয় সঞ্জয়কে। সরাসরি তার সঙ্গে কথা বলেন বিচারক। একনজরে দেখে নিন বিচারক ও সঞ্জয়ের কথোপকথন।
বিচারক- আপনার বিরুদ্ধে চার্জ আনা হয়েছে। চার্জ প্রমাণিত। আপনি নির্দোষ, এটা ছাড়া অন্য কথা বলুন।
সঞ্জয়- আমি কিছু করিনি। আমার উপর অত্যাচার করা হয়েছে। মিথ্যে বললে গলার রুদ্রাক্ষের মালা ছিঁড়ে পড়ত। ফাঁসানো হয়েছে। মেডিক্য়াল করাই হয়নি। অত্যাচার হয়েছে বলে দাবি দোষীর। এদিনই প্রথমবার সঞ্জয় দাবি করল, জোর করে তাকে বয়ানে সই করিয়েছে সিবিআই।
বিচারক- ৩ ঘণ্টা সময় দিয়েছি শোনার জন্য। যা প্রমাণ এসেছে, তাতে আপনার চেয়ে ভালো কেউ জানে না কী হয়েছে। আমার কাছে যা তথ্য রয়েছে তার ভিত্তিতে আমি বিচার করতে পারি।
বিচারক- আপনার বাড়িতে কে আছে? কেউ যোগাযোগ করেছে?
সঞ্জয়- মার সঙ্গে যোগাযোগ নেই। কেউ খোঁজ নেয়নি। আমি পুলিশ বারাকে থাকতাম। আমি কিছু করিনি স্যর।
সিবিআইয়ের আইনজীবী- সারা দেশে আলোড়ন ফেলেছে এই ঘটনা। সেবার জন্য যিনি কাজ করছিলেন, তাঁকেই খুন। বিরলের মধ্যে বিরলতম অপরাধ। সঞ্জয়ের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হোক।
সঞ্জয়ের আইনজীবী- বিরলতম কেস কীসের উপর ভিত্তি করে হয়? অতীতের বেশ কয়েকটি মামলার মৃত্যুদণ্ডের বিরোধিতা করলেন। বলেন, “মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে নই, সংশোধনের সুযোগ দিতে হবে।”
বিচারক- চিকিৎসকের মৃত্যু সমাজের বড় ক্ষতি।
সঞ্জয়- কাঠগড়ায় কেঁদে ফেলল অভয়ার ধর্ষক। আমি নির্দোষ স্যর।
সঞ্জয়ের আইনজীবী- মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হোক। বিকল্প শাস্তির আর্জি জানালেন তিনি।
অভয়ার আইনজীবী- সমস্ত অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে। সঞ্জয় দোষী। সর্বোচ্চ শাস্তি চাইছি।
বিচারক- কোর্টরুম ফাঁকা করার নির্দেশ। রায় দিতে কাজ করতে হবে। ২ টো বেজে ৪৫ মিনিটে সাজা ঘোষণা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.