সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের মতো জঘন্যতম অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে ভাই। সেই খবর পেয়ে প্রাথমিকভাবে চোখে জল এসে গিয়েছিল দিদির। সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেই আবেগ সামলে অন্যায় সম্পর্কে সচেতন হয়ে ওঠেন তিনি। ডুকরে কেঁদেই বলেন, ওঁদের (অভয়ার পরিবার) কাছে ক্ষমা চাইছি। আইন মনে করেছে, ”তাই ওকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। শাস্তি হবে।”
গত ৯ আগস্ট আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার হয় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। তাকেই একমাত্র অভিযুক্ত বলে চার্জশিট দেয় সিবিআই। এতদিন বিচারপ্রক্রিয়া চলছিল শিয়ালদহ আদালতে। তা শেষে শনিবার তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। যদিও সঞ্জয় গোড়া থেকেই দাবি করেছে, সে নির্দোষ, কিছু করেনি। এদিনও বিচারক রায় শোনানোর সময় চিৎকার করে সঞ্জয় বলে যে অন্যায় সে করেনি, সবাই মিলে দোষ করেছে। সে যদি দোষ করত, তাহলে তার গলার রুদ্রাক্ষের মালা ছিঁড়ে পড়ত। বিচারক জানান, তথ্য-প্রমাণ, তদন্তের ভিত্তিতেই দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে তাকে। সোমবার সাজা ঘোষণা। হয় ফাঁসি নয়তো যাবজ্জীবন কারাবাস হবে সঞ্জয়ের।
শনিবার ভাইকে দোষী সাব্যস্ত হতে দেখে আর চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি দিদি। আইনের চোখে সে কুকীর্তির নায়ক হলেও আসলে তো সহোদর! কান্না তো স্বাভাবিক। তবে তিনি এও উপলব্ধি করেছেন, একজন নারীর উপর কতটা নৃশংস অত্যাচার হয়েছে আর জি হাসপাতালে। আর তাই ভাইয়ের অপরাধের মার্জনা চেয়েছেন দিদি। তাঁর কথায়, ”আমার কিছু বলার নেই। আইনের মনে হয়েছে, ও দোষী। শাস্তি দিয়েছে। দোষ করলে তো শাস্তি পাবেই” আর নির্যাতিতার পরিবারের উদ্দেশে তিনি বললেন, “ওঁদের কাছে ক্ষমা চাইছি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.