Advertisement
Advertisement
RG Kar Hospital

প্রশ্নফাঁসে আর জি করের চিকিৎসকরাই? ‘ভাইরাল চিঠি’র উৎস নিয়ে তীব্র বিতর্ক

চিঠি তুমি কার? শুরু তীব্র টানাপোড়েন।

RG Kar Hospital: Viral Letter Alleges Dr. Tapas Pramanik and Others Involved in Question Leak Nexus
Published by: Sangbad Pratidin Video Team
  • Posted:January 23, 2025 7:14 pm
  • Updated:January 23, 2025 7:22 pm  

রমেন দাস: ডাক্তারি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসে জড়িত চিকিৎসকরাই? ফের শিরোনামে আর জি কর হাসপাতাল। প্রশ্ন নিয়ে বিতর্কে নাম জড়িয়েছে হাসপাতালের চিকিৎসক তাপস প্রামাণিক, নীলাঞ্জন ঘোষের! কিন্তু কী হয়েছে আসলে? দাবি, বৃহস্পতিবার হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়ে পড়ে একটি চিঠি। যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে লেখা রয়েছে, সাম্প্রতিক একটি পরীক্ষায় ওই দুই চিকিৎসক প্রশ্নফাঁস করেছেন। ওই চিঠিতে অভিযোগ, পরীক্ষার সময় বেনিয়মে জড়িত তাঁরা। শুধু চিকিৎসকরাই নন, ওই চিঠিতে নাম রয়েছে একাধিকের।

কিন্তু ‘ভাইরাল’ ওই চিঠি প্রকাশ্যে আসার পরেই তীব্র হয়েছে বিতর্ক। চিঠির নিচে রয়েছে শুধুই ‘জুনিয়র চিকিৎসক’ লেখা। তাহলে কে বা কারা লিখলেন চিঠি? আদৌ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছেছে ওই অভিযোগপত্র, প্রশ্ন তুলেছেন আন্দোলনরত চিকিৎসকদের একটা বড় অংশ।

Advertisement

যদিও ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস্ অ্যাসোসিয়েশনে’র (WBJDA) মুখপাত্র শ্রীশ চক্রবর্তীর দাবি, ‘‘ওই চিঠি আমাদের তরফে লেখা হয়নি। কারা লিখেছেন সেই বিষয়ে বলতে পারব না। তবে যদি পরীক্ষায় এমন বেনিয়ম, প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ থাকে, তাহলে সেই ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত অবশ্যই প্রয়োজন।’’

 

ইতিমধ্যেই আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন চিকিৎসক তাপস প্রামাণিক। তাঁর দাবি, ‘‘ওই চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রীকে স্যর সম্বোধন করা হয়েছে। লেখা রয়েছে জুনিয়র ডক্টরস! কারা লিখলেন, কেন লিখলেন বুঝিনি। পুরো চিঠিটাই ফেক ! আমি যে পদে এখানে চাকরি করি, সেই পদের সঙ্গে পরীক্ষার বা কলেজের সরাসরি কোনও যোগাযোগ নেই। তাই, কিছু না জেনেই ভুলভাল করেছে।’’

ওই চিকিৎসকের আরও অভিযোগ, ‘‘সম্পূর্ণ পরিকল্পনা করে বদনামের চেষ্টা করা হয়েছে। আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত বলেই এমন করা হতে পারে।’’ তিনি পুলিশে অভিযোগ জানাচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন ওই চিকিৎসক। এই ঘটনায় সরব হয়েছে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট’ (WBJDF)। চিকিৎসক কিঞ্জল নন্দের দাবি, এটা দেখে হাস্যকর লাগছে। যদি এমন ঘটনা ঘটে তার তদন্ত হোক। কিন্তু বারবার আন্দোলনরত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে এসব কেন হচ্ছে, সেটারও তদন্ত প্রয়োজন বলেই মনে করি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement