অর্ণব আইচ: ফাঁসি নাকি যাবজ্জীবন? সোমবার শিয়ালদহ আদালতে প্রথমার্ধের শুনানি শেষেও সঞ্জয়ের ভাগ্য নির্ধারণ এখনও বাকি। ৩২ মিনিটের সওয়াল জবাবে সঞ্জয়ের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানালেন সিবিআই এবং নির্যাতিতার আইনজীবীরা। তবে অতীতের একাধিক মামলার উদাহরণ টেনে সঞ্জয়কে সংশোধনের সুযোগ দেওয়ার আর্জি জানালেন দোষীর আইনজীবী।
সোমবার বেলা ১২টা ৩৮ মিনিট নাগাদ আদালত কক্ষে পৌঁছন বিচারক অনির্বাণ দাস। তার মিনিট চারেকের মধ্যে আদালত কক্ষের কাঠগড়ায় হাজির করা হয় সঞ্জয় রায়কে। প্রথমেই কোন কোন ধারায় শাস্তি হতে পারে, সে বিষয়ে সঞ্জয়কে জানাতে শুরু করেন বিচারক। তার পরিপ্রেক্ষিতে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে একের পর এক বোমা ফাটায় সঞ্জয়। দাবি করে তার ঠিকমতো মেডিক্যাল টেস্ট হয়নি। এমনকী জোর করে কাগজে সই করানো হয়েছে বলেও দাবি আর জি কর ধর্ষণ-খুন মামলার দোষী সিভিক ভলান্টিয়ারের। কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে এদিন কেঁদেও ফেলে সে।
বেলা ১২টা ৫০ মিনিট নাগাদ সিবিআইয়ের আইনজীবীর সওয়াল জবাব শুরু হয়। তিনি বলেন, “এই ঘটনায় সঞ্জয় যুক্ত। বিরল থেকে বিরলতম ঘটনা। ফাঁসির সাজা দেওয়া উচিত। সরকারি হাসপাতালে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে। গোটা সমাজ এই মামলার দিকে তাকিয়ে। কারণ নির্যাতিতার বাবা-মা সন্তানকে হারিয়েছেন।” এরপর দুপুর ১টা ৭ মিনিট নাগাদ নির্যাতিতার আইনজীবী আদালতে সওয়াল করেন। বলেন, “সমস্ত অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে। সিভিক ভলান্টিয়ার হিসাবে অভিযুক্তের আর জি কর হাসপাতালে যাতায়াত ছিল। তাকে আদালত দোষী সাব্যস্ত করেছে। সর্বোচ্চ সাজা চাইছি।”
তবে সর্বোচ্চ সাজার বিরোধিতা করেন সঞ্জয়ের আইনজীবী। বিরলতম কেস কীসের উপর ভিত্তি করে হয়, অতীতের বেশ কয়েকটি মামলার উদাহরণ টেনে বলেন সঞ্জয়ের আইনজীবী। মৃত্যুদণ্ডের বিরোধিতা করে বলেন, “মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে নই, সংশোধনের সুযোগ দিতে হবে।” বিকল্প শাস্তির আর্জি জানান তিনি। প্রথমার্ধের শুনানি শেষে দুপুর ১.৩৬ মিনিট নাগাদ আদালত কক্ষ থেকে বেরিয়ে যান বিচারক অনির্বাণ দাস। দুপুর ২.৪৫ মিনিট নাগাদ সাজা ঘোষণা করবেন বিচারক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.