Advertisement
Advertisement

Breaking News

বউবাজারে আরেকটা পার্থ দে, মায়ের দেহ আগলে বসে ‘অপ্রকৃতিস্থ’ ছেলে

শহরে ফের রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের ছায়া।

Robinson Street horror returns in the city
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:March 18, 2018 3:09 pm
  • Updated:July 15, 2022 4:49 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শহরে ফের রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের ছায়া। বউবাজারে একটি বাড়ি থেকে বৃদ্ধার পচাগলা দেহ উদ্ধার করল মুচিপাড়া থানার পুলিশ। মৃতদেহের পাশের অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় বসেছিল ছেলে। পুলিশের অনুমান, বেশ কয়েকদিন আগেই মৃত্যু হয়েছে ওই বৃদ্ধার। মায়ের মৃতদেহ আগলে বসেছিল ছেলে। তাঁকে আটক করেছে পুলিশ। মৃতদেহটি পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে।

[প্রয়াত প্রাক্তন মন্ত্রী প্রতীম চট্টোপাধ্যায়, রাজনৈতিক মহলে শোকের ছায়া]

Advertisement

১০ নং, শশীভূষণ দে স্ট্রিট। বউবাজারে এই ঠিকানাতে থাকতেন ওই বৃদ্ধা। বাড়ির দোতলায় একটি ঘরে ওই বৃদ্ধার সঙ্গে থাকতেন ছেলে পাপাই। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, নিয়মিত নেশা করেন পাপাই। নেশার টাকা না পেলে বৃদ্ধার মাকে মারধরও করতেন তিনি। সপ্তাহখানেক আগে ওই বৃদ্ধাকে শেষবার দেখেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কয়েকদিন আগে খোঁজ নিতে তাঁর বাড়িতে যান প্রতিবেশীরা। দরজা ফাঁক করে ছেলে পাপাই জানিয়েছিলে্ন, তাঁর মা অসুস্থ। কিন্তু, প্রতিবেশীদের ঘরে ঢুকতে দেননি তিনি। অভিযোগ, ঘরে ঢোকার চেষ্টা করলে, প্রতিবেশীদের মারধর করেন তিনি। বিষয়টি মুচিপাড়া থানায় জানানো হয়েছিল। পুলিশ পাপাইকে আটকও করেছিল। পরে অবশ্য ছাড়া পেয়ে যান তিনি। এই নিয়ে আর মাথা ঘামাননি স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা জানিয়েছেন, এই ক’দিনে পাপাইকে বেশ কয়েকবার দেখা গেলেও, ওই বৃদ্ধাকে আর ঘর থেকে বেরোননি। রবিবার সকালে দুর্গন্ধ বেরোতে শুরু করে। প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। ফের ওই বৃদ্ধার ঘরে যান তাঁরা। কিন্তু, যথারীতি তাঁর ছেলে ঘরে ঢুকতে দেননি।  এরপরই মুচিপাড়া থানায় খবর যায়। দোতলার ঘর থেকে ওই বৃদ্ধার পচাগলা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতদেহে পচন ধরেছিল। একই ঘরে অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় বসেছিল ছেলে পাপাই। তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য এনআরএসে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

[ফের শহরে অটোচালকের দাদাগিরি, খুচরো নিয়ে বচসায় বাবা-ছেলেকে মারধর]

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, বেশ কয়েক দিন আগেই মৃত্যু হয়েছে ওই বৃদ্ধার। ঘরের ভিতরে মায়ের দেহ আগলে বসেছিল ছেলে। তদন্তকারীদের দাবি, ছেলে পাপাই মানসিকভাবে সুস্থ নন। কিন্তু, কীভাবে মৃত্যু হল ওই বৃদ্ধার?  পুলিশ জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

[শিয়ালদহের পরিবর্তে এবার কলকাতা স্টেশন থেকে ছাড়বে দূরপাল্লার ট্রেন]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ