সুব্রত বিশ্বাস: ‘নারী দিবস’। মহিলা কর্মচারীদের সম্মান জানাতে শুক্রবার অর্ধ দিবস মহিলাদের হাতে রেল পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে রেল। অথচ এই সময়ে মহিলা সহকর্মীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে জেলে যেতে হল এক আরপিএফ ইন্সপেক্টরকে।শিয়ালদহ আদালতের এসডিজেএমের নির্দেশে বৃহস্পতিবারই চোদ্দো দিনের জেল হেফাজতে গেলেন শিয়ালদহ আরপিএফ কন্ট্রোলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইন্সপেক্টর অরূপ মণ্ডল। ‘নারী দিবসে’ নারীর অসম্মানের এই ঘটনাকে ‘অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক’ বলে জানান শিয়ালদহ আরপিএফের সিনিয়র কমান্ড্যান্ট এ ইব্রাহিম শেরিফ। তাঁর কথায়, মহিলা কর্মীদের সঙ্গে এমন আচরণ বরদাস্ত করা হবে না। সুরক্ষার জন্য মহিলা আরপিএফ, কিন্তু তাঁদেরও নিরাপত্তা জরুরি। মহিলা বাহিনীর এক কনস্টেবল নারকেলডাঙা থানায় ওই ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ আনেন। পুলিশ তদন্ত করে চার্জশিট জমা দেয়। এর পর আদালত অভিযুক্তকে চোদ্দো দিনের জন্য জেলে পাঠায়।
[ নারী দিবসে বিশেষ উদ্যোগ, আজ প্রথম অর্ধে রেলের সব দায়িত্বে মহিলারা]
কিছুদিন আগে মহিলা বাহিনীর এক কনস্টেবল অরূপের বিরুদ্ধে নারকেলডাঙা থানায় শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে এফআইআর হয়। এর পরেই পুলিশ শিয়ালদহ আরপিএফ কন্ট্রোলের ইন্সপেক্টর অরূপের বিরুদ্ধে তদন্তে নামে। বিভাগীয়ভাবে তদন্ত শুরু করে আরপিএফও। পুরো মামলাটি মহিলা কমিশনের কাছে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার পুলিশ চার্জশিট জমা দেওয়ার পরই অরূপকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। মহিলা আরপিএফদের কথায়, কর্মস্থলে উপরওয়ালার অনৈতিক চাপ সহ্য করতে হয়। ফলে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ছেন। হাওড়া ডিভিশনে ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধেও এমন অভিযোগ তুলেছিলেন আরপিএফের এক মহিলা আধিকারিক। এর পরেই ওই মহিলা আধিকারিককে সরিয়ে দেওয়া হয়। এবারও মহিলা বাহিনীর ওই কনস্টেবলকে তদন্ত চলাকালীনই কাঁচরাপাড়ায় পাঠিয়ে দেয় রেল। রেলের এক কর্মীর আক্ষেপ, চাকরিতে এসে মান খোয়ানোর সঙ্গে প্রতিবাদে হয়রানি জুটছে।
[ স্কুলে নয় মেয়েকে মধুচক্রে পাঠাত মা, পুলিশের জালে পাঁচ অভিযুক্ত]