Advertisement
Advertisement
Abhishek Banerjee

‘সন্দেশখালি নিয়ে এত নাচানাচি…’, সুকান্তকে খোঁচা দিয়ে কী বললেন অভিষেক?

সন্দেশখালি ইস্যুতে তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। অশান্তির জল গড়িয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট এমনকী সুপ্রিম কোর্টেও। এদিকে আবার উপদ্রুত এলাকায় যাওয়ার পথে টাকিতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন সুকান্ত মজুমদার। অসুস্থতার জন্য পুলিশি হেনস্তাকেই দায়ী করেছেন তিনি। শুক্রবার ভারচুয়াল বৈঠকে অসুস্থতা প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে একহাত নিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

Sandeshkhali issue: Abhishek Banerjee slams BJP state president Sukanta Majumdar । Sangbad Pratidin

(বাঁ দিকে) অসুস্থ সুকান্ত মজুমদার এবং (ডান দিকে) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

Published by: Sayani Sen
  • Posted:February 16, 2024 8:04 pm
  • Updated:February 16, 2024 8:08 pm

ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: সন্দেশখালি ইস্যুতে তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। অশান্তির জল গড়িয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট এমনকী সুপ্রিম কোর্টেও। এদিকে আবার উপদ্রুত এলাকায় যাওয়ার পথে টাকিতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন সুকান্ত মজুমদার। অসুস্থতার জন্য পুলিশি হেনস্তাকেই দায়ী করেছেন তিনি। শুক্রবার ভারচুয়াল বৈঠকে অসুস্থতা প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে একহাত নিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

অভিষেক বলেন, “বিরোধীদের কথা আর কি বলব? সন্দেশখালি নিয়ে এত নাচানাচি। অথচ চোপড়ায় বিএসএফের গাফিলতির কারণে চারটে ফুটফুটে শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ভেবে দেখুন বিএসএফ বেআইনি নর্দমা খনন করছে। আর সেই নর্দমায় পড়ে চারটে শিশুর মৃত্যু হল। কে গিয়েছে সেখানে? বিজেপি রাজ্য সভাপতি গাড়ি থেকে পা পিছলে পড়ে গিয়েছেন। সে কারণে সরকারি আমলাদের স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস পাঠাচ্ছে। আর আমাদের নেতাদের দিল্লিতে কী করা হয়েছিল?” এদিনের বৈঠকে একশো দিনের বকেয়া টাকা ফেরতে দাবিতে দিল্লিতে আন্দোলনে গিয়ে বীরবাহা হাঁসদা এবং মহুয়া মৈত্রদের মতো মহিলা সাংসদদের হেনস্তার কথাও উল্লেখ করেন অভিষেক। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘রাষ্ট্রপতি শাসন জারির পরিস্থিতি’, সন্দেশখালি নিয়ে দ্রৌপদী মুর্মুকে রিপোর্ট SC কমিশনের]

উল্লেখ্য, বুধবার সকালে সন্দেশখালি যাওয়ার কথা ছিল বিজেপি প্রতিনিধি দলের। তবে মঙ্গলবার গভীর রাতেই সন্দেশখালির ১৯টি জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। বুধবার সকালে টাকির হোটেলে গিয়ে সুকান্ত মজুমদারকে বিষয়টি জানান পুলিশ আধিকারিকরা। কর্মসূচি বাতিলের আর্জি জানান। কিন্তু তা মানতে রাজি হননি বিজেপি নেতা। এর পরই হোটেলের গেটে মোতায়েন করা হয় পুলিশ। প্রথমে প্রতিমা হাতে হোটেল থেকে বেরনোর চেষ্টা করেন ইন্দ্রনীল খাঁ-সহ বিজেপির নেতারা। তাঁদের বাধা দেয় পুলিশ। শুরু হয় বচসা। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। এসবের মাঝে কার্যত পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে হোটেলের অন্য গেট দিয়ে সরস্বতী প্রতিমা হাতে বের হন সুকান্ত মজুমদার। সঙ্গে ছিলেন নিরাপত্তারক্ষীরা।

Advertisement

ইছামতীর পাড়ে প্রতিমা রেখে শুরু হয় পুজো। তবে পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হতে শুরু করে। পুলিশের গাড়ির বনেটের উপর উঠে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। গাড়িও এগোতে পিছতে শুরু করেন পুলিশকর্মীরা। প্রবল ঝাঁকুনিতে মাটিতে পড়ে যান সুকান্ত। যদিও বিজেপির দাবি, পুলিশই ফেলে দেয় তাঁকে। তাতেই সংজ্ঞা হারান বিজেপি নেতা। পুলিশের গাড়িতে করে তাঁকে বসিরহাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। শুক্রবার অসুস্থ সুকান্তর সঙ্গে দেখা করেন মিঠুন চক্রবর্তী। 

[আরও পড়ুন: সারদা দেবীর আদলে ব্যঙ্গচিত্র পোস্ট! হিন্দু ভাবাবেগে আঘাতের দায়ে বিজেপিকে তুলোধোনা তৃণমূলের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ