সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিবিআই দপ্তরে পৌঁছালেন বিধাননগরের প্রাক্তন ডিসিডিডি অর্ণব ঘোষ৷ সারদা মামলার তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে সোমবার সকাল ১১ টার মধ্যে সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআইয়ের দপ্তরে হাজিরা দিতে বলা হয়৷ সেইমতো এদিন এখানে এসে পৌঁছেছেন ভবানীভবনের স্পেশ্যাল সুপারিন্টেনডেন্ট অর্ণব ঘোষ৷
সারদা কাণ্ডের তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে গতকালই অর্ণব ঘোষকে সমন পাঠায় সিবিআই৷ এর আগেও একাধিকবার তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷ তবে বারবার সমন এড়িয়ে গেলেও এবারে রাজীব কুমারের পথে হাঁটলেন না তিনি৷ বরং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সিবিআইয়ের দপ্তরে পৌঁছে যান অর্ণব৷ সূত্রের খবর, কাশ্মীরে সারদা গ্রুপের কর্ণধার সুদীপ্ত সেন ও শীর্ষ কর্ত্রী দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের গ্রেপ্তারির পর তাঁদের কাছ থেকে পাওয়া একাধিক নথি, পেন ড্রাইভ ও মোবাইল ফোন নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে অর্ণব ঘোষকে৷ অভিযোগ, ‘সিজার লিস্ট’ থেকে বহু সামগ্রী লোপাট হয়ে গিয়েছে৷ ফরেনসিক তদন্ত না করেই ফেরত দেওয়া হয়েছিল একাধিক মোবাইল ফোন৷ পাশাপাশি, সুদীপ্তর বয়ানে উল্লেখিত একটি রহস্যজনক লাল ডায়েরিও নাকি লোপাট হয়ে গিয়েছে৷ বিধাননগরের ডিসিডিডি থাকাকালীন সরদা কাণ্ডের তদন্তে রাজীব কুমারের নেতৃত্বে গঠিত সিটের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন অর্ণব ঘোষ৷ এই চিটফান্ড কাণ্ডে আরেক অভিযুক্ত রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ বারবার নথি লোপাটের অভিযোগ করে এসেছেন অর্ণব ঘোষের বিরুদ্ধে৷ শিলংয়ে জেরার সময়ও ভবানীভবনের এস এসের দিকে আঙুল তোলেন কুণাল৷ এদিন সারদা মামলা সক্রান্ত নথি নিয়ে সিবিআই দপ্তরে পৌঁছেছেন এএসআই আর মোল্লা। গতকালই সারদার মামলার প্রথম তদন্তকারী অফিসার প্রভাকর নাথকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই।
উল্লেখ্য, গত সোমবার প্রাক্তন নগরপালকে সমন পাঠায় সিবিআই৷ তাঁর বিরুদ্ধেও নথি লোপাটের অভিযোগ এনেছিল তদন্তকারী সংস্থাটি৷ তবে সোমবার হাজিরা এড়িয়ে যান রাজীব কুমার। তারপর দুপুরে সিআইডি আধিকারিকদের মাধ্যমে সিবিআই দপ্তরে বাড়তি সময় চেয়ে চিঠি পাঠান তিনি। সূত্রের খবর, ওই চিঠিতে বলা হয়, পারিবারিক কিছু কাজে তিনি ব্যস্ত রয়েছেন উত্তরপ্রদেশের বাড়িতে। সেই কারণে সোমবার সিবিআই দপ্তরে যেতে পারেননি। পারিবারিক ওই ব্যস্ততা মিটতে সময় লাগবে। তাই তাঁকে যেন সিবিআই দপ্তরে যাওয়ার জন্য অন্য দিন নির্দিষ্ট করা হয়। এবং সেটা সাতদিন পর। পাশাপাশি বারাসত আদালতে জামিনের আগাম আবেদনও জানাননি তিনি। গতকাল বিকেল অবধি রাজীবের আরজি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটে থাকেন সিবিআই কর্তারা। তবে রাতের দিকে সিআইডি-র প্রধান কার্যালয় ভবানী ভবনে যায় সিবিআই-র একটি দল৷