অর্ণব আইচ: এই প্রথম কলকাতায় পঞ্চায়েত ভোট। ভাঙড় এলাকার চারটি পঞ্চায়েতে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে কলকাতা পুলিশ। গত বছরই কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানা কলকাতা পুলিশের আওতায় এসেছে। এই একটিমাত্র থানা এলাকায় রয়েছে পঞ্চায়েত এলাকা। তাই ভোটের আগে কোনও ধরনের সংঘর্ষ এড়াতে এখন থেকেই কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে লালবাজার। রবিবার পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার আধিকারিকদের সঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কয়েকজন প্রশাসনিক কর্তার বৈঠক হয়।
[ পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন শুরু, মহিলা প্রার্থী খুঁজতে বিপাকে বিরোধীরা ]
লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রত্যেক বছরই পঞ্চায়েত ভোটের সময় বিভিন্ন জেলায় ডিউটি করতে যায় কলকাতা পুলিশ। কলকাতা পুলিশের টিম এবারও ডিউটি করতে অন্য জেলায় যেতে পারে। কিন্তু এই বছরই প্রথম পঞ্চায়েত ভোটে নিজেদের এলাকায় ডিউটি করতে হবে কলকাতা পুলিশের আধিকারিক ও কর্মীদের। তাই বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে লালবাজার। লালবাজারের এক কর্তা জানান, কলকাতায় পুরভোট, বিধানসভা বা লোকসভায় যেভাবে পুলিশি ব্যবস্থা রাখা হয়, একেবারে সেই আদলেই পঞ্চায়েত ভোটের কয়েকদিন আগে থেকেই পুলিশি ব্যবস্থা রাখা হবে ভাঙড় ১ ব্লকের ওই চারটি পঞ্চায়েতে। প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী, ‘স্যাফ’ ও ‘কমব্যাট’-এর মতো কলকাতা পুলিশের বিশেষ বাহিনী ও র্যাফকেও ভোটের কাজে লাগানো হতে পারে। ভোটের কয়েকদিন আগে থেকে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স এলাকা জুড়ে টহল দিতে পারে বিশেষ বাহিনী। কত সংখ্যক পুলিশ ভোটে নামানো হবে, তা নিয়ে বৈঠকে বসছেন লালবাজারের কর্তারা।
[ নেতা-মন্ত্রীদের নাম করে হুমকি শিক্ষিকার, স্কুলে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ অভিভাবকদের ]
ভোটের আগে এলাকায় রাজনৈতিক সংঘর্ষ এড়াতে এখন থেকেই কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ। যারা এলাকায় গোলমাল করতে পারে বা যাদের বিরুদ্ধে আগেও গোলমালের অভিযোগ রয়েছে, তাদের নামের তালিকা পুলিশ ইতিমধ্যেই তৈরি করেছে। তাদের কার্যকলাপের উপর শুরু হয়েছে বিশেষ নজরদারি। এই বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগকেও। তাদের মধ্যে কেউ কলকাতা বা দক্ষিণ ২৪ পরগনার কোনও জায়গা থেকে এলাকায় অস্ত্র নিয়ে আসছে কি না, সেদিকেও নজরদারি রয়েছে পুলিশের। এদিনের বৈঠকেও প্রশাসনিক কর্তারা পুলিশ আধিকারিকদের রাজনৈতিক সংঘর্ষের বিষয় নিয়ে সতর্ক করে দেন। এই সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত সংখ্যক পুলিশ টহল দিতে শুরু করছে। কলকাতা পুলিশের এলাকায় গোলমাল করে অভিযুক্তরা যাতে বাইরে পালাতে না পারে অথবা আশপাশের এলাকায় গোলমাল করে যাতে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স এলাকায় আশ্রয় না নিতে পারে, তার জন্য কলকাতা পুলিশ আধিকারিকদের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে শুরু করেছেন। ভোট বুথ ও কেন্দ্রগুলিতে পরিদর্শন করে থানা লালবাজারকে রিপোর্টও দেবে বলে জানা গিয়েছে। সেইমতো নিরাপত্তাজনিত ও আইন-শৃঙ্খলার ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
[ তৃণমূল নেতা খুনে শম্ভুনাথ কাউয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, জরিমানা ৫ হাজার টাকা ]