Advertisement
Advertisement
license

হাতে দাঁড়িপাল্লায় চাল-ডাল মাপছেন দোকানি? অভিযোগ পেলেই বাতিল হবে লাইসেন্স

ধীরে ধীরে সমস্ত দোকানেই রাখতে হবে ইলেকট্রনিক ওজন যন্ত্র।

Shopkeepers license will be cancelled if found using manual weighing system | Sangbad Pratidin
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:March 16, 2023 1:54 pm
  • Updated:March 16, 2023 2:00 pm

অভিরূপ দাস: দোকানির হাতে দাঁড়িপাল্লা! তাতেই মাপছেন চাল-ডাল। এবার অভিযোগ জানান ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরে। বাতিল হবে দোকানের লাইসেন্স। ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, ধীরে ধীরে সমস্ত দোকানেই রাখতে হবে ইলেকট্রনিক ওজন যন্ত্র। তার জন‌্য শুরু হয়ে গিয়েছে পদক্ষেপ। তবে যাঁরা এখনও দাড়িপাল্লা বাটখারা ব‌্যবহার করছেন তাঁদের দাড়িপাল্লা রাখতে হবে সমান জায়গায়। হাতে নৈব নৈব চ।

ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র উপভোক্তা অধিকার দিবসে জানিয়েছেন, ধীরে ধীরে সমস্ত দোকানিকে ইলেকট্রনিক ওজন যন্ত্র রাখতে বাধ‌্য করা হবে। তাহলে মানুষ অনেক কম ঠকবে। শুধু তাই নয়, অনলাইনে কোনও জিনিস কেনার পরেও তা ওজন করে নিতে বলছেন মন্ত্রী। তাঁর কথায়, অনলাইনে এক কেজি আলু কিনলেন। বাড়িতে ওজন করে দেখলেন সাতশো গ্রাম। আমাদের দপ্তরে জানান। তেমন ক্ষেত্রে ব‌্যবস্থা নেওয়া যাবে অনলাইন সংস্থার বিরুদ্ধেও।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মতুয়া মন জিততে মরিয়া কেন্দ্র! ঠাকুরনগরের মেলা উপলক্ষে বিশেষ ট্রেন চালাবে রেল]

একটা সময়ের পরে সমস্ত যন্ত্রেই দেখা যায় ত্রুটি। যে কারণে অভিযান চালাচ্ছে ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তর। যাঁরা ইলেকট্রনিক ওজন যন্ত্র ব‌্যবহার করেন সেখানেও পরিদর্শন হয়। ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের কন্ট্রোলার নারায়ণ চন্দ্র বিশ্বাস জানিয়েছেন, বছরে একবার করে প্রতিটি দোকানে গিয়ে যাচাই করে দেখা হয় ইলেকট্রনিক ওজন যন্ত্র। সে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হলে বদলে দেওয়া হয় সঙ্গে সঙ্গে। অন‌্যদিকে যাঁরা দাড়িপাল্লা ব‌্যবহার করেন প্রতি দু’বছরে একবার সেই পাল্লা, বাটখারা সরেজমিনে খতিয়ে দেখা হয়। নিয়ম অনুযায়ী দু’বছরে একবার বদলাতেই হবে বাটখারা।

Advertisement

ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের আইন অনুযায়ী, কোনও দোকানি হাতে ধরে দাঁড়িপাল্লা ব‌্যবহার করতে পারবেন না। তাতে সঠিক ওজন আসে না। সমস্ত দোকানেই ইলেকট্রনিক ওজন মাপার যন্ত্র রাখার কথা জানিয়েছে ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তর। এখনও একাধিক বাজারে হাতে ধরে দাড়িপাল্লা ব‌্যবহার করছেন বিক্রেতারা। বিশেষ করে সবজি, মাছের বাজারে এমনটা চোখে পড়ে অহরহ। কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (বাজার) আমিরুদ্দিন ববি জানিয়েছেন ৪৬ টা বাজার রয়েছে পুরসভার। ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের নিয়ম মেনে তারাও বাজারে পরিদর্শনে যাচ্ছেন। মেয়র পারিষদের কথায়, ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী হাতে ধরে দাড়িপাল্লা ব‌্যবহার বেআইনি। সেকথা আমরা বলছি বাজারে গিয়ে।

[আরও পড়ুন: আবাস যোজনার নামে টাকার তোলার অভিযোগ, ফের তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত যুব নেতা]

শুধু তাই নয়, মুদির দোকানে যদি কোনও জিনিসের উপর দাম না লেখা থাকে তবে সে জিনিসের মূল‌্য নিয়ে দরদাম করতে পারেন ক্রেতা। ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী বিপ্লব মিত্রর কথায়, যেকোনও পণ‌্যর উপরে এমআরপি লেখা বাধ‌্যতামূলক। তবে লেখা না থাকলে ক্রেতা বিক্রেতার কথা অনুযায়ী দাম দিতে বাধ‌্য নয়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ