সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউনে ভিনরাজ্যে আটকে পড়া রাজ্যের পড়ুয়াদের ফেরাতে তৎপর রাজ্য সরকার। বুধবার রাজস্থানের কোটা থেকে বাসে উঠবেন অন্তত ২৫০০-৩০০০ পড়ুয়া। তাঁদের জন্য মোট ১০১টি বাসের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। তাঁরা আগামী তিনদিনের মধ্যে ফিরবেন বাংলায়। ৩টি বাস পশ্চিমবঙ্গের তিনটি জোন কলকাতা, শিলিগুড়ি এবং আসানসোলে এসে দাঁড়াবে। ছাত্রছাত্রীরা তাদের বাড়ির যে জোনে সেই অনুযায়ী বাসে উঠবে। বাসে ওঠার সময় এবং বাস থেকে নামার পর তাঁদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হবে। বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরই সাংবাদিকদের সামনে সুখবর শোনালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ফেরার পথে কোথায় থাকবেন, খাবেন সে সংক্রান্ত বন্দোবস্তও করেছে রাজ্য সরকার। গোটা বিষয়টি দেখভাল করছেন রাজ্য সরকারের সিএমআরও তথা কোভিড ম্যানেজমেন্ট ক্যাবিনেট কমিটির কো-অর্ডিনেটর সেলিম। বাস আজ কোটা থেকে ২৫০০-এর বেশি ছাত্রছাত্রী নিয়ে রওনা দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের উদ্দেশে।
রাজ্যের লকডাউন পরিস্থিতির ইতি ঘটবে কি না, সে বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বৈঠকেই একাধিক সিদ্ধান্ত নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, সোমবার থেকে পাড়ার স্টেশনারি, ছোট ইলেকট্রনিক্স দোকান, বই, রং, মোবাইল, ব্যাটারি চার্জিং, হার্ডওয়্যার, লন্ড্রি খোলা যাবে। কোনও ব্যবসায়ী চাইলে খুলতে পারবেন চা এবং পানের দোকানও। তবে সেক্ষেত্রে দোকানের সামনে কাউকে জমায়েত হতে দেওয়া যাবে না। পরিবর্তে হোম ডেলিভারি করা যেতে পারে। তবে এখনই খুলছে না হকার্স কর্নার কিংবা ফুটপাথের দোকানও। গ্রিন জোনে খোলা যাবে ছোট কারখানা। নির্দিষ্ট প্রোটোকল মেনে নির্মাণ কাজও করা যেতে পারে। এছাড়াও গ্রিন জোনে চলতে পারবে বেসরকারি বাস। ওই বাসটি ২০ জন যাত্রী নিয়ে জেলার ভিতরে চলতে পারবে। কোনওভাবে ট্যাক্সি চালানো যায় কিনা, সে বিষয়ে টাস্ক ফোর্স এবং পুলিশ বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেবে। চা বাগানে আপাতত ২৫ শতাংশ কর্মী নিয়েই কাজ চালাতে হবে।
[আরও পড়ুন: অজুহাত করোনা ভাইরাস, কলকাতা হাই কোর্টের কাছে জামিন চাইল পাক গুপ্তচর]
এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, মে-র শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত আমাদের নিয়ম মানতে হবে। বর্ষায় আবারও এই ভাইরাসের সংক্রমণের ক্ষমতা বাড়তে পারে। তাই আপাতত বেশ কয়েকদিন মাস্ক পরে থাকতে হবে। দোকান, বাজার এবং রাস্তায় অযথা ভিড় জমানো চলবে না। এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে আশাকর্মী এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী। আশাকর্মীরা যেভাবে বাড়ি বাড়ি ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করেছেন, তা প্রশংসাযোগ্য বলেও জানান রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।