Advertisement
Advertisement
রবীন্দ্র সরোবর

রবীন্দ্র সরোবরে অবাধে চলল ছট পুজো, বাইরে ‘নীরব’ পুলিশ

ছট পুজোর জেরে পরিযায়ী পাখিরা চলে যাওয়ার আশঙ্কায় পক্ষীপ্রেমীরা।

Some woman celebrates Chhath Puja inside Rabindra Sarobar Lake
Published by: Sayani Sen
  • Posted:November 2, 2019 6:19 pm
  • Updated:November 2, 2019 6:22 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গ্রিন ট্রাইবুনালের রায়কে অমান্য করে রবীন্দ্র সরোবরে চলল ছট পুজো। রীতিমতো ডিজে বাজিয়ে, বাজি ফাটিয়ে চলল উৎসব উদযাপন। পরিবেশপ্রেমীদের অভিযোগ, রবীন্দ্র সরোবরের বাইরে পুলিশ মোতায়েন থাকা সত্ত্বেও ভিতরে চলল পূজার্চনা। পুজো সেরে পুণ্যার্থীরা রবীন্দ্র সরোবর থেকে বেরিয়ে যান। ছট পুজো উদযাপনের জেরে হয়তো পরিযায়ী পাখিরা অন্যত্র চলে যেতে পারে বলেই আশঙ্কা পক্ষীপ্রেমীদের।

গ্রিন ট্রাইবুনালের রায় অনুযায়ী চলতি বছর রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজো পুরোপুরিভাবে নিষিদ্ধ ছিল। যাতে কেউ না সরোবর দূষিত করতে পারে তাই ১ থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত সাধারণ মানুষের প্রবেশের ক্ষেত্রেও জারি ছিল নিষেধাজ্ঞা। চতুর্দিকে নোটিস দিয়ে সেকথা জানিয়েও দিয়েছিল কলকাতা পুরসভা। কোথায় ছট পুজো করা যাবে তারও উল্লেখ ছিল নোটিসে। তবে সেই নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে শনিবার সকালে রবীন্দ্র সরোবরের তাণ্ডব চালায় বহিরাগত বেশ কয়েকজন যুবক। ভেঙে দেওয়া হয় তিন নম্বর এবং মাদার ডেয়ারি গেটের তালা। ছিঁড়ে দেওয়া হয় কলকাতা পুরসভার নোটিসও। পরিবেশপ্রেমীদের রীতিমতো গালিগালাজ করে বহিরাগতরা। পুলিশের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগেও সুর চড়ান পরিবেশপ্রেমীরা।

Advertisement

Rabindra-Sarobar

Advertisement

এদিন বিকেলে জোর করেই হয়তো অবাঙালিরা সরোবরে ছট পুজো করবেন বলেই আশঙ্কা করেছিলেন পরিবেশপ্রেমীরা। সেই আশঙ্কাই যেন সত্যি হল। বিকেলে প্রায় জোর করে মূল দরজা ভেঙে রবীন্দ্র সরোবরের চৌহদ্দির ভিতরে ঢুকে পড়েন পুণ্যার্থীরা। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে সূর্যের আরাধনা। ডিজে বাজিয়ে নাচানাচিও করেন অনেকেই। ফাটানো হয় শব্দবাজিও। পরিবেশপ্রেমীদের অভিযোগ, গ্রিন ট্রাইবুনালের রায়কে অমান্য করে অবাঙালিরা এত কাণ্ড ঘটালেও পুলিশ কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকাই পালন করে। সরোবরের বাইরে প্রহরা দিলেও ভিতরে ঢুকে ছট পুজোতে বাধা দেয়নি কেউই। উল্লেখ্য, চলতি বছর দীপাবলিতে সরোবরে বাজি ফাটেনি। যার ফলে পরিযায়ী পাখিরাও দিব্যি আসর জমিয়েছে। ছট পুজোর জেরে পাখিদের অন্যত্র চলে যাওয়ার সম্ভাবনাও এড়ানো যাচ্ছে না।

[আরও পড়ুন: মায়ের জন্য ৫০ বছরের পাত্র চাই, নেটদুনিয়ায় প্রশংসা কুড়োচ্ছে তরুণীর পোস্ট]

এদিকে, পুলিশের নির্বিকার থাকা নিয়ে ইতিমধ্যেই চলছে জোর আলোচনা। দিনকয়েক আগে জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “১০ লক্ষ মানুষ ছট পুজোয় সরোবরে ভিড় জমান। তাই তাঁদের কাউকে গুলি চালিয়ে কিংবা মারধর করে তাড়ানো যায় না।” ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, ওই কথার মাধ্যমেই পরোক্ষে অবাঙালিদের সরোবরে ছট পুজো করায় মদত দিয়েছিলেন তিনি। তাই পুলিশ এদিন জোর করে ছট পুজো রুখতে সরোবরের ভিতরে ঢোকেনি।  যদিও এ বিষয়ে এখনও পালটা কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ