Advertisement
Advertisement

Breaking News

ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলির প্রতি অধিক আস্থাতেই মেধাতালিকায় নেই কলকাতা

একদিকে আইসিএসই-র মেধাতালিকায় কলকাতার পড়ুয়াদের দাপুটে উপস্থিতি৷ অন্যদিকে এরই সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র মাধ্যমিকের সেরার তালিকায়৷ কলকাতার স্কুলগুলি থেকে একজন পড়ুয়াও এবার জায়গা করে নিতে পারেনি মাধ্যমিকের মেধাতালিকায়৷

special story on madhyamik
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 12, 2016 2:40 pm
  • Updated:February 7, 2019 6:22 am

একদিকে আইসিএসই-র মেধাতালিকায় কলকাতার পড়ুয়াদের দাপুটে উপস্থিতি৷ অন্যদিকে এরই সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র মাধ্যমিকের সেরার তালিকায়৷ কলকাতার স্কুলগুলি থেকে একজন পড়ুয়াও এবার জায়গা করে নিতে পারেনি মাধ্যমিকের মেধাতালিকায়৷ মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়েছে চলতি শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিকের ফল৷ পাসের হারে দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও মেধাতালিকায় কলকাতা ব্রাত্য থাকার পিছনে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলির প্রতি অভিভাবকদের অধিক আস্থাকেই মূল কারণ বলে মনে করছে শিক্ষামহলের একাংশ৷ এই স্কুলগুলি প্রায় সবই সিবিএসই ও আইসিএসই বোর্ড অনুমোদিত৷ শিক্ষাবিদদের মতে, কলকাতার অভিভাবকরা তাঁদের ছেলেমেয়েদের আইসিএসই, সিবিএসই বোর্ডে পড়াতে বেশি আগ্রহী৷ আর সে কারণেই মাধ্যমিক কিংবা উচ্চমাধ্যমিক বোর্ডের প্রতি তাঁরা অনেকটাই ভরসা হারাচ্ছেন৷ মেধাবী ছেলেমেয়েরা সকলেই প্রায় সিবিএসই, আইসিএসই বোর্ডের স্কুলগুলিতে ভর্তি হচ্ছে৷

কলকাতার অধিকাংশ শিক্ষিত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েরা এখন এই সব স্কুলে যায়৷ আইসিএসই ও সিবিএসই-র মতো সর্বভারতীয় পরীক্ষায় তাই দেখা যাচ্ছে মেধাতালিকার উপরের দিকে কলকাতার স্কুলের ছেলেমেয়েরা জায়গা করে নিচ্ছে৷ কিন্তু জেলার দিকে এখনও পর্যন্ত এই ’ট্রেন্ড’ না থাকায় ভাল ফল করছে সরকারি, সাহায্যপ্রাপ্ত কিংবা পোষিত স্কুলগুলি৷ একথা যদিও মানতে নারাজ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রশাসক কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়৷ তিনি জানাচ্ছেন, প্রথম দশের মেধাতালিকায় এবার জায়গা করে নিয়েছে ৬৬ জন ছাত্র-ছাত্রী৷

Advertisement

প্রতিযোগিতাও রয়েছে বিস্তর৷ যারা র‍্যাঙ্ক করেছে তাদের প্রত্যেকের মধ্যেই এক নম্বরের ফারাক রয়েছে৷ তাই এই বিপুল প্রতিযোগিতার মধ্যে মেধাতালিকায় না আসতে পারলেও কলকাতার সার্বিক ফল ভাল হয়েছে৷ পাসের হারে পূর্ব মেদিনীপুরের পরই স্থান করে নিয়েছে কলকাতা৷ শিক্ষাবিদ তথা প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যক্ষ অমল মুখোপাধ্যায় যদিও মনে করেন, মেধাবী ছেলেমেয়েরা সকলেই আজকাল ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলিতে ভর্তি হচ্ছে৷ সে কারণেই আইসিএসই-আইএসসি কিংবা সিবিএসই বোর্ডের পরীক্ষায় নজরকাড়া ফল করেছে ছাত্র ছাত্রীরা৷ এই ধারা যদিও বেশ কয়েক বছর ধরেই চলছে৷ অভিভাবকরা ক্রমেই ভরসা হারিয়েছেন বাংলা মাধ্যম স্কুলগুলির প্রতি৷ তাঁদের ধারণা হচ্ছে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে না পড়লে ছাত্র ছাত্রীরা ভাল চাকরি পাবে না৷ ইন্টারভিউয়ের সময় অন্যদের থেকে পিছিয়ে পড়বে৷ ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিক্যাল ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক তথা অর্থনীতিবিদ অভিরূপ সরকারও একই মত প্রকাশ করেছেন৷ তাঁর কথায়, মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় কলকাতার স্কুলগুলির ঠাঁই না হওয়ার পিছনে দিল্লি বোর্ডের স্কুলে ভর্তির প্রবণতা একটা বড় কারণ৷ এছাড়াও কলকাতার বেশ কিছু নামী মাধ্যমিক বোর্ডের স্কুলও সিবিএসই, আইসিএসই বোর্ডে পরিণত হচ্ছে৷ মাধ্যমিক বোর্ডে মেধাবী ছাত্ররা কম সংখ্যায় ভর্তি হচ্ছে৷ যার প্রভাব প্রতিফলিত হচ্ছে মেধাতালিকায়৷ বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির কলকাতা জেলা সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, কলকাতার ভাল পড়ুয়ারা প্রায় সকলেই দিল্লি বোর্ডের স্কুলে ভর্তি হয়৷ বাকি মধ্যমেধার পড়ুয়ারা ভর্তি হয় মাধ্যমিক স্কুলগুলিতে৷ সে কারণেই হয়তো সেরার তালিকায় স্থান করে নিতে পারছে না কলকাতার ছাত্র-ছাত্রীরা৷

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ