BREAKING NEWS

৭ আশ্বিন  ১৪৩০  সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

রাজ্য সম্মেলনে বঙ্গ সিপিএমকে তুলোধোনা ইয়েচুরির, প্রশ্ন উঠল নেতৃত্বের ‘দাদাগিরি’ নিয়েও

Published by: Biswadip Dey |    Posted: March 15, 2022 9:36 pm|    Updated: March 15, 2022 9:36 pm

State conference of CPM started, Sitaram Yechuri slammed Bengal comrades। Sangbad Pratidin

ফাইল ছবি।

বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: বিধানসভা ভোটে জোট। সেইসঙ্গে আন্দোলনে নেতৃত্বের অনীহা। সিপিএমের (CPM) রাজ্য সম্মেলনের প্রথম দিনই তোপের মুখে কমরেড কুলের নেতারা। বিধানসভা ভোটের আগে নেতৃত্বের অবাস্তব ও একতরফা সিদ্ধান্ত পার্টিকে ডুবিয়েছে বলে সুর সপ্তমে চড়ান দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকজন নেতা। ভোটের দিন আলিমুদ্দিনের কর্তাদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন একাধিক প্রতিনিধি। তবে সম্মেলন চলাকালীন মঞ্চে বসে থাকা শীর্ষ নেতৃত্বের দিবানিদ্রারও সমালোচনা করেন প্রতিনিধিরা।

স্বাধীনতার পর এই প্রথম পার্টি সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতির মধ্য়ে দিয়ে যাচ্ছে। মঙ্গলবার রাজনৈতিক ও সাংগাঠনিক খসড়া দলিল পেশ করে জানান বিদায়ী রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। পার্টি সংগঠনকে মজবুত করে জনগণের কাছে যাওয়ার যে দাওয়াই বেঁধে দেওয়া হয়েছিল তার বাস্তবায়নে ব্যর্থ। প্লেনামের সিদ্ধান্ত রাজ্যে কার্যকর হয়নি বলে বঙ্গ সিপিএম নেতাদের তুলোধোনা করেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি।

[আরও পড়ুন: পুরুলিয়ায় কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনে চাঞ্চল্য, ভাইরাল নিহতের ভাইপোর সঙ্গে IC’র কথোপকথন!]

মঙ্গলবার থেকে কলকাতার প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে শুরু হয়েছে সিপিএমের রাজ্য সম্মেলন। যোগ দেন প্রায় ৭০০ প্রতিনিধি। রয়েছেন সীতারাম ইয়েচুরি, বিমান বসু-সহ সাত পলিটব্যুরোর সদস্য। তবে প্রথমদিন থেকেই উত্তর থেকে দক্ষিণ সব জেলার প্রতিনিধিরা সরব ছিলেন নেতৃত্বের ‘দাদাগিরি’ নিয়ে। সেইসঙ্গে এক প্রতিনিধি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর পদ্মভূষণ প্রত্যাখানের বিষয়টি তোলেন বলে খবর।

উত্তরের তন্ময় ভট্টাচার্য বা পশ্চিম বর্ধমানের অপূর্ব সরকারদের আক্রমণের নিশানা ছিল আলিমুদ্দিন। ভোটের আগে জোট গঠনের আগে রাজ্য নেতারা নিচুতলা তো দূরঅস্ত। জেলা নেতৃত্বের মতামত নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি। রাজ্য এই মনোভাব নিয়ে চললে জেলা বা এরিয়া কমিটির প্রয়োজনীয়তা নেই বলেই মনে করেন তাঁরা। তাঁদের সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত দিয়ে সুর সপ্তমে চড়ান পশ্চিম মেদিনীপুরের সমর মুখোপাধ্যায়, মালদার দেবজ্যোতি সিনহারা। আবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার মোনালিসা সিনহা মেদিনীপুরের গীতা হাঁসদারা সরব ছিলেন আন্দোলনে নেতৃত্বের অংশগ্রহণ নিয়ে।

[আরও পড়ুন: বিছানায় দম্পতির দেহ, পাশে বিষের শিশি, জোড়ামৃত্যুর ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য মেদিনীপুর]

তাঁদের মতো অনেকেই অভিযোগ করেন, পার্টির ছাত্র-যুবরা নিয়মিত আন্দোলনের মধ্যে থাকলেও রাজ্য নেতৃত্বকে রাস্তায় দেখা যায় না। পার্টি কীভাবে চলবে বা রাস্তায় থাকবে তা নির্ধারণ করেন। নেতৃত্বের এহেন মনোভাবের ফলে পার্টি আরও অপ্রাসঙ্গিক হবে অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগ তুলে আদতে ঘুরিয়ে পরবর্তী রাজ্য সম্পাদক নিয়ে নেতৃত্বের সিদ্ধান্তের বিরোধিতার রাস্তায় খুলে রাখলেন প্রতিনিধিরা। এমনটাই মনে করছে প্রতিনিধিদের একাংশ।
তবে বুদ্ধবাবুর পদ্মভূষণ প্রত্যাখ্যান নিয়ে এক প্রতিনিধি প্রশ্ন তুলে জানতে চান, প্রত্যাখ্যানের সিদ্ধান্ত বুদ্ধবাবু নিয়েছিলেন নাকি পার্টি সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিয়েছিল। প্রশ্ন উঠতেই গুঞ্জন শুরু হয় সম্মেলনে বলে জানা গিয়েছে।

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে