Advertisement
Advertisement
রেড জোন তালিকা

চার থেকে বেড়ে ১০ জেলা রেড জোনে কীভাবে? কেন্দ্রের তালিকার প্রতিবাদে চিঠি রাজ্যের

কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের রিপোর্টের প্রভাব?

State opposes Centre's new list of red zones in Bengal
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:May 1, 2020 5:44 pm
  • Updated:May 1, 2020 5:44 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যকে পাঠানো কেন্দ্রের নয়া রেড জোনের তালিকা ঘিরে এবার চরমে সংঘাত। কেন হঠাৎ এই তালিকায় বদল? প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিবকে পালটা চিঠি দিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব বিবেক কুমার। কেন্দ্রের নয়া তালিকা অনুযায়ী-

রেড জোন- দার্জিলিং, কালিম্পং জলপাইগুড়ি, মালদা, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া ও কলকাতা।

Advertisement

অরেঞ্জ জোন- মুর্শিদাবাদ, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, নদিয়া ও হুগলি।

Advertisement

গ্রিন জোন- আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রাম।

প্রসঙ্গত, রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আসা কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রাজ্যের একটা সংঘাত তৈরি হয়েছিল। এবার তা চরমে উঠল করোনায় রেড জোন চিহ্নিত করে কেন্দ্রের পাঠানো নয়া তালিকায়। এই তালিকায় মূলত রাজ্যের ৪টি থেকে বাড়িয়ে ১০টি জেলাকে রেড জোনের আওতায় দেখানো হয়েছে। কিন্তু রাজ্যের দাবি, প্রথমে কেন্দ্র রাজ্যের চারটি জেলা-কলকাতা, হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর ও উত্তর ২৪ পরগনাকেই রেড জোনের আওতায় দেখিয়েছিল। বিবেক কুমার চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, ৩০ এপ্রিল ক্যাবিনেট সচিবের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের সময় চারটি জেলাকে রেড জোনে দেখানো হয়ছিল। ১ মে সেটা কী করে দশটি জেলা হয়ে গেল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

[আরও পড়ুন: বিজেপির মদতে চাল চুরি করছে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, তৃণমূলের অভিযোগ ঘিরে ধুন্ধুমার]

উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব প্রীতি সুদনের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রতি সপ্তাহে সংক্রমণের হার, কতদিনে সংক্রমণের সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছে, কতজন ব্যক্তি সংক্রমিতের সংস্পর্শে আসছেন, তা পর্যালোচনা করে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা নবান্নে জানিয়েছিলেন, রাজ্যের অরেঞ্জ জোনের দু’টি জেলায় গত ২৫ দিন কোনও সংক্রমণ হয়নি, তিনটি জেলা থেকে ২১ দিনের মধ্যে নতুন সংক্রমণ নেই। আরও দু’টি জেলায় গত সাত দিনে কোনও সংক্রমণ নেই। তবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এই নতুন তালিকা দেখে মনে করা হচ্ছে তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে সম্প্রতি রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আসা কেন্দ্রীয় আন্তঃমন্ত্রক প্রতিনিধি দলের রিপোর্ট প্রভাব ফেলেছে।

[আরও পড়ুন: ‘নিশ্চিন্তে বাড়ি ফিরব ভাবিনি’, রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদজ্ঞাপন কোটায় আটকে পড়া পড়ুয়াদের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ