সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাঝখানে পাঁচ মাস। একই দাবিতে ফের উত্তাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। পড়ুয়াদের একটাই দাবি, বাতিল করতে হবে ছাত্র কাউন্সিল এবং ফেরাতে হবে ছাত্র সংসদ। দাবি আদায়ে রাতভর ঘেরাও করে রাখা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং সহ উপাচার্যকে।
[মিছিলে গণ্ডগোল হলে দায় বিজেপির, সাফ কথা কলকাতা হাই কোর্টের]
গত আগস্ট মাসে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ছাত্র সংসদের বদলে ছাত্র কাউন্সিল তৈরির কথা ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। সেন্ট জেভিয়ার্সের ধাঁচে চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে এই অরাজনৈতিক কাউন্সিল তৈরির কথা বলা হয়েছিল। এই নিয়ে নির্দেশিকা জারি হলেও গত আগস্ট মাসে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন পড়ুয়াদের একাংশ। সোমবার একই ইস্যুতে ফের শুরু হয় আন্দোলন। সোমবার বিকেল চারটেয় এই নিয়ে কর্মসমিতির বৈঠক বসে। সেখানে ছাত্র সংগঠনগুলি দাবি জানায় ছাত্র কাউন্সিল বাতিল করে ছাত্র সংসদ ফেরাতে হবে। এব্যাপারে দু’পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক হলেও সমাধানসূত্র মেলেনি। এমনকী এর পরিণতিও স্পষ্ট নয়। বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপচার্য জানান, আগস্ট মাসে একটি প্রস্তাব জমা পড়ে। এরপর পড়ুয়ারা মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। তারপর অবশ্য পড়ুয়াদের থেকে কোনওরকম ফিড ব্যাক পায়নি বিশ্ববিদ্যালয়। সহ উপাচার্য স্পষ্ট করে দিয়েছেন যেহেতু সরকারি নোটিফিকেশন হয়েছে, তাই ছাত্র কাউন্সিলের বিষয়ে তাদের পক্ষে কিছু করণীয় নেই। রাত বারোটার সময় আন্দোলনকারীদের শেষ প্রস্তাব দেওয়া হয়। তারপরও জট কাটেনি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বার্তা দিয়েছেন আলোচনা আরও বিস্তৃত হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু পড়ুয়ারা তাদের দাবিতে অনড়। রাতভর ক্যাম্পাসে আটকে থাকেন উপাচার্য এবং সহ উপাচার্য। তবে আন্দোলনকারীদের দাবি এটি ঘেরাও নয় অবস্থান। আধিকারিকদের বেরোতে হলে তাঁদের উপর দিয়ে যেতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন আন্দোলনকারীরা। পড়ুয়াদের একাংশের অভিযোগ ছাত্র সংসদের নামে বিশ্ববিদ্যালয় তাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। ছাত্র সংসদ নিয়ে স্পষ্ট কিছু না জানা পর্যন্ত আন্দোলনে অনড় আন্দোলনকারীরা।
[ভাড়া নিয়ে বচসার জেরে মডেলের ‘শ্লীলতাহানি’, অভিযুক্ত অটোচালক]
সব মিলিয়ে বছরের শুরুতে আরও একবার অচলাবস্থা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। যে ছাত্র কাউন্সিল নিয়ে এত বিতর্ক তা একেবারে অরাজনৈতিক। নয়া বিধি বিধানসভায় আইন আকারে পাশ হয়েছে। এই ব্যাপারে সরকার যে পিছু হটছে না তা আগেই জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যাদবপুরে তিনটি শাখার জন্য পৃথক ছাত্র সংসদ আছে। ছাত্র কাউন্সিল হলে তা মিশে একটি হয়ে যাবে। যা কোনওভাবে মানতে চাইছে না ছাত্র সংগঠনগুলি।