Advertisement
Advertisement

Breaking News

নার্সিং পড়ুয়া

ইংরাজিতে পড়াশোনায় সমস্যা, চাপ নিতে না পেরে ‘আত্মহত্যা’ নার্সিং পড়ুয়ার

ঘটনার তদন্তে নেমেছে বেনিয়াপুকুর থানার পুলিশ।

Student commits 'suicide' at National Medical College & Hospital
Published by: Sayani Sen
  • Posted:November 16, 2019 11:21 am
  • Updated:November 16, 2019 11:27 am

গৌতম ব্রহ্ম: ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পাঁচতলা থেকেই উদ্ধার হল প্রথম বর্ষের নার্সিং পড়ুয়ার দেহ। কিন্তু কীভাবে মৃত্যু হল ওই ছাত্রীর, তা নিয়েই তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। পড়াশোনার চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা নাকি প্রেমঘটিত কারণ, তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ আধিকারিকরা। ঘটনার তদন্তে নেমেছে বেনিয়াপুকুর থানার পুলিশ।

কোচবিহারের বাসিন্দা সমাপ্তি নামে ওই তরুণী। বরাবর বাংলা মাধ্যম স্কুলে পড়াশোনা করতেন তিনি। তবে চলতি বছর ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নার্সিং বিভাগের প্রথম বর্ষে ভরতি হন তিনি। নার্সিং নিয়ে পড়াশোনা করা হচ্ছিল ইংরাজি ভাষায়। বাংলা মাধ্যমের ছাত্রীর পক্ষে তা বোঝা হয়ে উঠেছিল দুষ্কর। হাজার কষ্ট করেও পড়া মুখস্থ করতে পারছিলেন না সমাপ্তি। কারও কারও দাবি, মেধাবী ছাত্রী সমাপ্তি বারবার চেয়েছিলেন বাংলা অনার্স নিয়ে পড়তে। পরিজনেরা কেউই রাজি হননি তিনি বাংলা নিয়ে পড়াশোনা করুক। তাই পরিবারের চাপে বাধ্য হয়েই নার্সিং নিয়ে পড়তে হয় সমাপ্তিকে। সে কারণে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত বলেই অনুমান কারও। বেনিয়াপুকুর থানার পুলিশ ওই পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। ঘটনার তদন্তে নেমে প্রেমঘটিত কারণে আত্মহত্যার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না আধিকারিকরা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সমুদ্রে ফেরানোর চেষ্টা ব্যর্থ, মৃত্যু খালে সাঁতরে বেড়ানো ডলফিনের]

সমাপ্তির সহপাঠীদের জানিয়েছে, শুক্রবার সন্ধে পর্যন্ত বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে পিকনিকও করেছিল সে। তারপর ঘুমিয়ে পড়ে। সকালে ঘুম ভেঙে উঠে সমাপ্তির ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায় তাঁরা। কিন্তু প্রশ্ন একটাই ন্যাশনাল মেডিক্যালের নার্সিং পড়ুয়াদের হস্টেলের প্রতিটি ঘরে তিন-চারজন করে পড়ুয়া থাকেন। সেক্ষেত্রে সমাপ্তির আত্মহত্যার সময় কেউ টের কেন পেলেন না, সেই প্রশ্নও মাথাচাড়া দিয়েছে। সবে প্রথম বর্ষের পড়াশোনা শুরু হয়েছিল। মাত্র এই কয়েকদিনের মধ্যে কীভাবে একজন ছাত্রী আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিলেন, তাও ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। এই হাসপাতালের ডেপুটি সুপার বিমলবন্ধু সাহা ঘটনার কথা সুপার সঞ্জীব ঘোষকে জানান। আচমকা কেন সমাপ্তি আত্মহত্যা করলেন, তা ভাবাচ্ছে তাঁদেরও। এদিকে এই ঘটনার পর থেকে ন্যাশনাল মেডিক্যালে আর থাকতে চাইছেন না কোনও পড়ুয়াই। বাড়ি যেতে উদ্যত তাঁরা।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ