Advertisement
Advertisement
Subhaprasanna

‘প্রশাসক মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া হতেই হয়’, কুণালের সঙ্গে সাক্ষাতের পর বললেন শুভাপ্রসন্ন

'যা বলেছি, সবটাই ব‌্যক্তিগত মতামত থেকে,' দ্য কেরালা স্টোরি প্রসঙ্গে বললেন শুভাপ্রসন্ন।

Subhaprasanna meets Kunal Ghosh amids The Kerala Story controversy | Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:May 11, 2023 9:08 am
  • Updated:May 11, 2023 9:08 am

স্টাফ রিপোর্টার: বাংলায় ‘দ‌্য কেরালা স্টোরি’ নিষিদ্ধ করা নিয়ে রাজ্যের বিরোধিতা করেছিলেন শিল্পী শুভাপ্রসন্ন। একাধিক সংবাদমাধ‌্য‌মে মুখ‌্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা অব‌্যাহতও রেখেছিলেন। এর মধ্যেই জানা যায়, বুধবার সকালে তৃণমূলের রাজ‌্য সাধারণ সম্পাদক তথা দলীয় মুখপাত্র কুণাল ঘোষের সঙ্গে কথা বলেন শুভাপ্রসন্ন। কুণাল তাঁকে অনুরোধ করেন, তাঁর কিছু বলার থাকলে সরাসরি মুখ‌্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে। বাইরে কিছু বললে সেটা অন‌্য বার্তা যায়।

এদিকে বেলা হতেই তৃণমূল নেতা বিধায়ক মদন মিত্র শুভাপ্রসন্নকে কড়া আক্রমণ করতে থাকেন। শিল্পীকে ‘সুবিধাবাদী’ও আখ‌্যা দেন প্রাক্তন এই মন্ত্রী। গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগ করতে থাকেন। এরপরই শুভাপ্রসন্ন কুণালকে (Kunal Ghosh) ফের ফোন করেন। কুণাল সন্ধ‌্যা সাতটা নাগাদ শুভাপ্রসন্নর বাড়িতে পৌঁছন। ঘণ্টাখানেক দু’জনের মধ্যে আলোচনা হয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: প্রাথমিকে নিয়োগে সামান্য ত্রুটি! সুপ্রিম কোর্টে ‘ভুল’ মানল পর্ষদ]

বেরনোর সময় শুভাপ্রসন্ন বলেন,”যা বলেছি, সবটাই ব‌্যক্তিগত মতামত থেকে। শিল্পী হিসাবে আমি মনে করি, একটি ছবি নিষিদ্ধ করলেই আটকানো যায় না।” তবে এটাও শিল্পী স্পষ্ট করেন, “প্রশাসক হিসাবে মুখ‌্যমন্ত্রী যা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তার পাশেই আছি। সমাজকে ভাগ করার চেষ্টা হলে তো প্রশাসনকে কড়া সিদ্ধান্ত নিতেই হয়।” দুই মন্তব‌্যকে গুলিয়ে না ফেলতেও সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন শিল্পী শুভাপ্রসন্ন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বিয়ের তিনমাস পরেও কেন হল না সন্তান? হতাশায় আত্মঘাতী নববধূ]

বৈঠকের পর কুণালকে গেট অবধি পৌঁছে দেন শুভাপ্রসন্ন। তবে কুণাল এ বিষয়ে কোনও কথা হয়েছে বলে স্বীকার করেননি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানান, বাড়িতে আসার আমন্ত্রণ ছিল। নানা বিষয়ে কথা হতেই পারে। কুণালের বক্তব্য, “শুভাদা সিনিয়র মানুষ এবং দীর্ঘদিন ধরে মমতাদির সঙ্গে রয়েছেন এবং পরিবর্তনের আন্দোলনে অনেক দিন আগে থেকে শুভদা নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিত্ব করেছেন, নেতৃত্ব দিয়েছেন। ফলে আমার মনে হয় এটা নিয়ে খুব একটা বাড়তি ভুল বোঝাবুঝি নেই। কোনও একটা আঙ্গিক থেকে শুভাদা কোনও একটা কথা বলেছিলেন। কিন্তু তিনি পুরোদস্তুর প্রশাসক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে। তিনি জানেন যে প্রশাসক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হয়। যখন এরকম ধরনের কোনও একটা স্পর্শকাতর বিষয়ে কেউ সমাজে ভেদাভেদ করতে চায়, তখন আপতদৃষ্টিতে দেখে যা মনে হয় তার বাইরেও প্রশাসককে কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আমার মনে হয় এই নিয়ে কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব দূরত্ব সেই ধরনের বিতর্কের আর কোনও অবকাশ থাকছে না।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ