Advertisement
Advertisement

Breaking News

পার্থ চট্টোপাধ্যায়

চেহারার তুলনায় মাপে ছোট, বাধ্য হয়ে ‘দিদিকে বলো’ টি-শার্ট হাতে সাংবাদিক বৈঠকে পার্থ

টি-শার্ট গায়ে না হওয়ায় কী বললেন তৃণমূলের মহাসচিব?

T-shirt embarrassment for Partha Chatterjee at 'DidiK Bolo' campaign
Published by: Sayani Sen
  • Posted:July 31, 2019 4:59 pm
  • Updated:July 31, 2019 5:00 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চেহারায় বরাবরই স্থূল তিনি৷ স্টাইল স্টেটমেন্ট ঢিলেঢালা পাঞ্জাবি৷ কিন্তু দলের নিয়মানুযায়ী গায়ে দেওয়া প্রয়োজন ‘দিদিকে বলো’ টি-শার্ট৷ তাঁর জন্য ‘এম’ মাপের টি-শার্ট বরাদ্দও করা হয়৷ তবে চেহারার জন্য গায়ে হল না জামা৷ তাই বাধ্য হয়ে টি-শার্ট হাতে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷

লোকসভা নির্বাচনে সেভাবে ভাল ফল করতে পারেনি ঘাসফুল শিবির৷ বাংলার ১৮টি আসন দখল করে নিয়েছে বিজেপি৷ ভরাডুবির পর থেকে দফায় দফায় বৈঠকে বসেছে তৃণমূল৷ নির্বাচনী কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের কথামতো আপাতত এগিয়ে চলেছেন দলীয় নেতাকর্মীরা৷ সোমবার থেকে নেওয়া হয়েছে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি৷ ওই কর্মসূচির মাধ্যমে ফোন নম্বর এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সরাসরি দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব৷

Advertisement

[আরও পড়ুন: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়কে বিশেষ সম্মান, সাহিত্যিকের নামে নামকরণ হচ্ছে কলকাতার এই রাস্তার]

প্রশান্ত কিশোরের নির্দেশ অনুযায়ী ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি সম্পর্কে সকলকে জানাতে বেহালার ম্যানটনের দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করার কথা ছিল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের৷ সকাল থেকে দলীয় কার্যালয়ে ভিড় জমান দলীয় নেতাকর্মীরা৷ প্রত্যেকের গায়েই সাদা রংয়ের টি-শার্ট৷ বুকে দলনেত্রীর ছবির সঙ্গে লেখা ‘দিদিকে বলো’৷ টি-শার্ট রাখা হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জন্যও৷ নির্ধারিত সময়ের বেশ কিছুটা দেরিতে এদিন দলীয় কার্যালয়ে এসে পৌঁছন তৃণমূল মহাসচিব৷ কিন্তু ততক্ষণে দলীয় নেতাকর্মীরা বুঝে গিয়েছেন ওই টি-শার্ট তাঁর গায়ে হবে না৷ পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জানানো হয় তাঁর জন্য রাখা টি-শার্টটি আদতে ‘এম’ বা ‘মিডিয়াম’ মাপের৷ যা তাঁর গায়ে হওয়া সম্ভব নয়৷ দলীয় নেতাকর্মীরা ভেবেছিলেন হয়তো তাতে রেগে যাবেন মহাসচিব৷ কিন্তু মোটেও রেগে যাননি তিনি৷ পরিবর্তে টি-শার্ট হাতে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন পার্থ৷ বৈঠক শেষে হাসি মুখে বলেন, “আমার সাইজে তো আর পাওয়া গেল না! তাই হাতে নিয়েই ছবি তুলি।”

Advertisement

২০২১ সালে হবে এরাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন৷ তার আগে নিজেদের হারানো জমি ফিরে পাওয়ার জন্য একের পর এক ব্রহ্মাস্ত্রকে কাজে লাগাচ্ছেন নির্বাচনী কৌশলী প্রশান্ত কিশোর৷ তাঁর কথা অনুযায়ী চলছে গোটা দল৷ নতুন নিয়মকানুন মানতে সমস্যা হচ্ছে বলেও ঘাসফুল শিবিরের অন্দরমহলে অনেকেই দাবি করছেন৷ তবে প্রশান্ত কিশোরের কথা মেনে চলতে তাঁর কোনও সমস্যা হচ্ছে না বলেই জানিয়েছেন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ