Advertisement
Advertisement
TET

ধরনা চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে TET প্রার্থীরা, রাতেই শুনানির আবেদন

সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ বিক্ষোভকারীদের।

TET aspirants in High Court division bench seeking permission to stage a dharna | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:October 20, 2022 8:29 pm
  • Updated:October 20, 2022 8:44 pm

রাহুল রায়: ১৪৪ ধারা জারির মাঝেও ধরনা চালিয়ে যেতে চান সল্টলেকের টেট (TET) বিক্ষোভকারীরা। পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ, মাইকিং উপেক্ষা করে আন্দোলনে অনড় বিক্ষোভকারীরা স্লোগানে স্লোগানে সেই বার্তা দিয়েছেন। এবার সেই আবেদন নিয়ে হাই কোর্টের (Calcutta HC) দ্বারস্থ হলেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন ২০১৪’র টেট চাকরিপ্রার্থীরা। আবেদন, রাতেই জরুরি ভিত্তিতে শুনানি হোক।

টানা প্রায় তিনদিন ধরে সল্টলেকের (Salt Lake) করুণাময়ীতে এপিসি ভবন অর্থাৎ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কার্যালয়ের সামনে ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার্থীরা ধরনায় বসেছেন। প্রায় ৫৭ ঘণ্টা ধরে তাঁরা অনশন করছেন। তাঁদের বিরোধিতায় পর্ষদ আদালতে মামলা করে। বৃহস্পতিবার পর্ষদের সেই মামলার রায়ে কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court) স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসের সামনে ১৪৪ ধারা সুনিশ্চিত করতে হবে রাজ্য পুলিশকে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে কর্মীদের নিরাপদে ঢোকা-বেরনোর ব্যবস্থা করতে হবে পুলিশকেই।

Advertisement

[আরও পড়ুন: তোলা হচ্ছে চাঁদা, প্রতিমাকে সাজানোর ভার পুরোহিতের, কেমন চলছে অনুব্রতহীন কালীপুজোর প্রস্ততি?]

টেট প্রার্থীদের অভিযোগ, এদিন আদালতে চাকরিপ্রার্থীদের তরফে কোনও আইনজীবী ছিলেন না। তাই একতরফাভাবে তাঁদের বক্তব্য না শুনেই রায় দেওয়া হয়েছে।  এরপরই তাঁরা প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানান। রাতেই আদালত খুলে দ্রুত শুনানির আবেদন জানান। পাশাপাশি, নিজেদের আন্দোলনের স্ট্র্যাটেজিও বদলে ফেলেন তাঁরা। পুলিশের মাইকিং, হুঁশিয়ারির পর ১৪৪ ধারা মেনে গোটা চত্বরে ছোট ছোট ভাগে বিভক্ত হয়ে অনশনে বসেন। নিয়ম অনুযায়ী, এক জায়গায় ৫ জনের বেশি জমায়েত করা যায় না। তাই তাঁদের ছোট দলে বিভক্ত হওয়া। সঙ্গে পোস্টার, স্লোগান, হাত হাত ধরে লড়াইয়ের বার্তা আরও জোরদার করা। রাতের অন্ধকারেও বিক্ষোভকারীদের একটাই কথা শোনা যাচ্ছে, ”চাকরির নিয়োগপত্র না পেলে আন্দোলন ছাড়ব  না, জলগ্রহণ করব না। ” অনশনে অনেকের অসুস্থতার খবরও মিলছে। তারপরও তাঁরা দৃঢ়কণ্ঠে বলছেন, ”অসুস্থ হব, তবু অধিকারের লড়াই থেকে সরব না।” 

Advertisement

[আরও পড়ুন: পরীক্ষা পিছোতে দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়াকে খুন, গুরুগ্রামের অভিযুক্তকে জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ