সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক যত বাড়ছে। ততই যেন মানবিক হয়ে উঠছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সমস্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি সংক্রমণ রুখতে রাজ্যজুড়ে লকডাউনের ঘোষণা করা হয়েছে। আর তার আগেই ২২ জন লোকসভা ও ১৩ জন রাজ্যসভা সাংসদকে অবিলম্বে দিল্লি ছাড়ার নির্দেশ দিল তৃণমূল। করোনা ভাইরাস নিয়ে সবাই যখন আতঙ্কিত তখন দলীয় সাংসদদের নিজের লোকসভা কেন্দ্রের মানুষের পাশে থাকতে বললেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
এর পাশাপাশি রবিবারই লোকসভা ও রাজসভার সচিবালয়কে চিঠি লিখে সোমবার থেকে সংসদের অধিবেশন বন্ধ রাখার আবেদন জানিয়েছে তারা। এপ্রসঙ্গে রাজ্যসভা সাংসদ ও তৃণমূলের মুখপাত্র ডেরেক ও ব্রায়েন বলেন, ‘একসঙ্গে অনেক মানুষকে জড়ো হতে নিষেধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ৬৫ বছরের বেশি মানুষকে বাড়ি থেকে বেরোতে নিষেধ করেছেন। কিন্তু, লোকসভা ও রাজ্যসভাতেই এতজন সাংসদ ও এত কর্মী রয়েছেন। লোকসভার ২২ শতাংশ ও রাজ্যসভার ৪৪ শতাংশ সাংসদের বয়স ৬৫ বছরের কাছাকাছি বা তার থেকে বেশি। তাঁদের সুরক্ষিত রাখার জন্য সংসদের দুটি কক্ষের অধিবেশনই বন্ধ রাখা উচিত। আমরা গত ১০ দিন ধরেই এই দাবি জানাচ্ছি।’
রবিবার জনতা কারফিউ (JantaCurfew) চলার সময়ই পরপর তিনজনের মৃত্যু খবর চিন্তায় ফেলেছে চিকিৎসকদের। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন দেশবাসী। যদিও করোনার সংক্রমণ থেকে বাঁচতে ইতিমধ্যেই একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কেন্দ্র ও বিভিন্ন রাজ্য সরকারের তরফে। একাধিক রাজ্যে লকডাউনও ঘোষণা করা হয়েছে। আগামিকাল বিকেল ৪টে থেকে পশ্চিমবঙ্গেও লকডাউন করা হয়েছে। কঠিন এই পরিস্থিতির মধ্যে সাধারণ মানুষের যাতে কোনও সমস্যা না হয় তা দেখার দায়িত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছেন প্রতিটি সাংসদকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.