ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: দলের বিধায়কদের অনুশাসনে বাঁধতে আরও কড়া প্রশাসক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বিধানসভায় তৃণমূল পরিষদীয় দলের জন্য গড়ে দেওয়া হল ৫ সদস্যের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি (Disciplinary Committee)। কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে। নবগঠিত এই কমিটির বাকি সদস্যরা মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ফিরহাদ হাকিম, বীরবাহা হাঁসদা ও অরূপ বিশ্বাস।
এই কমিটির কাজ কী? মূলত, বিধানসভার (Assembly)অলিন্দে দলীয় বিধায়করা দলের লাইনের বাইরে কখনও কখনও বিতর্কিত অনেক কিছুই বলে ফেলেন। সেক্ষেত্রে তাঁদের দলের লাইন বুঝিয়ে দেওয়া, দরকারে শাসন করার অধিকার থাকবে এই কমিটির হাতে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ভরতপুরের হুমায়ুন কবীর আর ডেবরার হুমায়ুন কবীর, দুই বিধায়কের সাম্প্রতিক কিছু বক্তব্য আর পদক্ষেপ চর্চায় এসেছে।
ডেবরার হুমায়ুন চলতি বিধানসভাতেই ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ নিয়ে বলতে গিয়ে সংখ্যালঘু মহিলাদের ১০০০ টাকা করে দেওয়ার দাবি তুলে বিতর্ক বাঁধিয়েছেন। তৎক্ষণাৎ তাঁকে সতর্ক করেন দলের সিনিয়র নেতা-মন্ত্রীরা। খবর যায় শীর্ষ নেতৃত্বের কাছেও। অন্যদিকে, ভরতপুরের বিধায়ক দলের শোকজ চিঠি পেয়েই নতুন দল গড়ার কথা ঘোষণা করেছেন। এই পরিস্থিতিতে বিধানসভায় দলের সদস্যদের ন্যূনতম অনুশাসনে বাঁধতে চাইছে তৃণমূল (TMC) পরিষদীয় দল। সেক্ষেত্রে এই শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি তৈরি হওয়া যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
এছাড়া বিধায়কদের একাংশ নিয়মিত বিধানসভায় আসেন না বলেও রিপোর্ট পেয়েছে দল। অনেকে পুরো সময় অধিবেশনেও থাকেন না। অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বের জন্য কী প্রশ্ন জমা দিতে হবে, সেটাও ঠিক করে জানেন না। অধিবেশন চলাকালীন কী ধরনের আচরণ করা উচিত, বারবার পরিষদীয় নেতৃত্ব বলে দেওয়ার পরও সেই অনুযায়ী কাজ তাঁরা করেন না বলেও অভিযোগ আসে। এই পরিস্থিতিতে এই ধরনের কমিটির গুরুত্ব যথেষ্ট।