সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাড়িতে ঢুকে তৃণমূল কর্মীকে গুলি করে খুন করা হল। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর এলাকায়। নিহত তৃণমূল কর্মীর নাম সমীর মিস্ত্রি। তৃণমূলের ট্রেড ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। পাশাপাশি ট্যাক্সি চালাতেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাত এগারোটা নাগাদ নিজের বাড়িতে খেতে বসেছিলেন সমীরবাবু। বাড়ির দরজা খোলাই ছিল। আচমকা কয়েকজন দুষ্কৃতী এসে বাড়ির বাইরে থেকে গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। সমীরবাবুর বড় মেয়ে চৈতালি সদ্য উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে। সে জানায়, ঘটনার সময় ঘরের ভিতরে ছিল সে ও তার ভাই। গুলির আওয়াজ শুনেই বাইরে এসে দেখে বাবা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশীদের সহায়তায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সমীরবাবুকে। সেখানে ডাক্তাররা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
[দুর্ঘটনার কবলে অনুব্রত মণ্ডলের পাইলট কার, মৃত পুলিশকর্মী]
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ মনে করছে, রাজনৈতিক বিদ্বেষ নয় বরং পুরনো শত্রুতার জেরেই খুন হতে হয়েছে তৃণমূল নেতাকে। তবে বাবার এমন কোনও শত্রু রয়েছে বলে মনে করতে পারছে না চৈতালি। অবশ্য তার কথায়, সম্প্রতি ট্যাক্সি চালানোর পাশাপাশি প্রোমোটারির ব্যবসা শুরু করেছিলেন সমীরবাবু। তারপর থেকেই টেনশনে থাকতেন। বাড়ি ফিরেও চুপচাপ থাকতেন। এমনকী অতিরিক্তি মদ্যপান করতেও শুরু করেছিলেন। প্রোমোটারির ব্যবসা সূত্রেই তৃণমূল নেতাকে খুন হতে হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
[শহরের বুকেই প্রতারণা চক্র, তদন্তে লালবাজারের সাইবার সেল]
এদিকে চোখের সামনে স্বামীকে এভাবে হারিয়ে ভেঙে পড়েছেন সমীরবাবুর স্ত্রী। পরিবারে একমাত্র রোজগেরে সদস্য ছিলেন তিনি। মেয়ে সবে উচ্চ মাধ্যমিক দিয়েছে। আর ছেলে দশম শ্রেণির ছাত্র। এমন অবস্থায় স্বামীর মৃত্যুতে দিশেহারা তিনি। ভাল মানুষ সমীরবাবুর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসীও।
[হিমাচলে স্কুলবাস দুর্ঘটনায় মৃত বেড়ে ৩০, আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর]