Advertisement
Advertisement

রবীন্দ্রভারতীতে বর্ণবিদ্বেষের শিকার অধ্যাপিকা, ইস্তফা বিভাগীয় প্রধানদের

রাজ্যপালের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা।

TMCP hurls racial abuse at Rabindra Bharati University professor
Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:June 18, 2019 2:12 pm
  • Updated:June 18, 2019 2:13 pm

দীপঙ্কর মণ্ডল: খাস কলকাতায় এবার বর্ণবিদ্বেষের শিকার এক অধ্যাপিকা। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই অধ্যাপিকাকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা জাত তুলে গালিগালাজ করেছে বলে অভিযোগ। প্রতিবাদে শিক্ষা, সংস্কৃত, অর্থনীতি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান-সহ রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচজন অধ্যাপক ইস্তফা দিয়েছেন। বুধবার রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর কাছে অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা অভিযোগ জানাবেন বলে জানা গিয়েছে। এদিকে অধ্যাপিকার বিরুদ্ধে বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্যের ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছে কেন্দ্রীয় তফশিলি কমিশনও।

[আরও পড়ুন: দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্যের প্রতিবাদে দমদমে বন্ধ অটো, দুর্ভোগে যাত্রীরা]

ঘটনার সূত্রপাত গত ২০ মে। সেদিন পরীক্ষার কম নম্বর দেওয়ার অভিযোগে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুগোল বিভাগের প্রধান সরস্বতী কেরকেটাকে রীতিমতো নিগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ। আক্রান্ত অধ্যাপিকার দাবি, ঘটনার দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে তাঁকে লক্ষ্য করে বোতল ছোঁড়েন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। এমনকী, জাত তুলে গালিগালাজ করা হয়, যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিক্ষোভকারীরা। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা দাবি করেন, অধ্যাপিকা সরস্বতী কেরকেটাকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। ঘটনায় এতটাই মানসিক আঘাত পান যে, রীতিমতো অসুস্থ হয়ে পড়েন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুগোল বিভাগের প্রধান। ঘটনার তিনদিন পর, ২৩ মে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন অধ্যাপিকা সরস্বতী কেরকেটা। তবে এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।

Advertisement

Advertisement

এদিকে অধ্যাপিকাকে নিগ্রহ ও বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্যের প্রতিবাদে ইস্তফার হিড়িক পড়ে গিয়েছে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। পদত্যাগ করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন শিক্ষা বিভাগের প্রধান ভারতী বন্দ্যোপাধ্যায়, সংস্কৃত বিভাগের প্রধান অমল মণ্ডল, অর্থনীতি বিভাগের প্রধান বিন্দি সাউ ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বিভাগীয় প্রধান বঙ্কিম মণ্ডল ও বাংলাদেশ স্টাডিজের অধিকর্তা আশিস দাস। তাঁদের অভিযোগ, এর আগেও অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের বিরুদ্ধে বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য করা হয়েছে। কিন্তু অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি, ভুগোল বিভাগের প্রধানকে নিগ্রহ ও বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্যের ঘটনার তদন্তে কমিশন গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দিলেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

[আরও পড়ুন: হুডিনি হতে চেয়েছিলেন ম্যানড্রেক, রেকর্ড ভাঙতে গিয়ে দীর্ঘ মৃত্যুমিছিল]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ