Advertisement
Advertisement
Train

ভিনরাজ্য থেকে কাটা হচ্ছে হাওড়া স্টেশনের সংরক্ষিত টিকিট! ফাঁস দালালচক্রের কারসাজি

কুলিকে জেরা করে দালালচক্রের পাণ্ডা সউদুল শেখকে গ্রেপ্তার করেছে আরপিএফ।

Tout ring mule arrested at Howrah station | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:May 26, 2022 10:01 am
  • Updated:May 26, 2022 10:01 am

সুব্রত বিশ্বাস: ভিনরাজ্যের বুকিং কাউন্টার থেকে সংরক্ষিত টিকিট কেটে আনা হত কলকাতায়। তারপর চাহিদামাফিক মোটা টাকায় সেগুলি বিক্রি করা হচ্ছিল শহরে। বুধবার এমনই এক দালালচক্রের কারসাজি ফাঁস হয়েছে। হাওড়া স্টেশনে লাইসেন্সধারী কুলি বৈকুণ্ঠ গন্ডকে ১১টি সংরক্ষিত টিকিট সমেত পাকড়াও করে হাওড়া আরপিএফের নর্থ পোস্টের কর্মীরা।

[আরও পড়ুন: সিপিএমের ‘ডিজিটাল’ নজরদারি, দলীয় কর্মসূচির লাইভ করার নিদান রাজ্য নেতৃত্বের]

আরপিএফ সূত্রে খবর, ধৃত বৈকুণ্ঠের কাছ থেকে ৫৩ হাজার ৯৭৫ টাকার সংরক্ষিত টিকিট পাওয়া গিয়েছে। সবকটি টিকিটই হাওড়া (Howrah Station) থেকে বিভিন্ন ট্রেনের জন্য কাটা। কুলিকে জেরা করে দালাল চক্রের এক পাণ্ডা সউদুল শেখকে গ্রেপ্তার করেছে আরপিএফ। সংরক্ষিত এই টিকিট (Train Ticket) দানাপুর এক্সপ্রেস, পাঞ্জাব মেল, শক্তিপুঞ্জ এক্সপ্রেসে হাওড়া পাঠানো হয়। সেগুলি ট্রেন থেকে স্টেশনের বাইরে নিয়ে গিয়ে দালালদের হাতে তুলে দিত ধৃত কুলি। দীর্ঘদিন ধরেই তার উপর নজর রাখছিল আরপিএফ। বুধবার বৈকুণ্ঠে হাতেনাতে ধরার পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার কাছে থেকে নগদ পাঁচ হাজার ছশো টাকাও বাজেয়াপ্ত করেছে আরপিএফ।

Advertisement

এদিকে, মঙ্গলবার দালালচক্রের দৌরাত্ম্য নিয়ে রেলমন্ত্রীকে টুইটে অভিযোগ জানিয়েছেন শ্রীজিৎ গাঙ্গুলি নামের এক ব্যক্তি। তাঁর অভিযোগ, ব্যান্ডেল স্টেশনের রিজার্ভেশনের লাইনে তিনিই প্রথম ছিলেন। রিজার্ভেশন কাউন্টার খুলতেই ১ নম্বর কাউন্টারের রিজার্ভেশন ক্লার্ক একটা কাগজ এনে তাঁকে বলেন, “আপনার নাম কোথায়?” ওই সাদা কাগজে নাম নথিভুক্ত করার বিষয় তাঁর জানা নেই বলে জানানোয় তাঁকে লাইন থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ফলে রাত থেকে টিকিটের জন্য লাইন দিয়েও বঞ্চিত হন তিনি। তারপরই রেলমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানান শ্রীজিৎ গাঙ্গুলি।

Advertisement

অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে রেলের (Rail) কমার্শিয়াল বিভাগকে। তবে এই ধরণের তালিকার বিষয়টি সম্পর্কে রিজার্ভেশন কর্তাদের বক্তব্য, যাত্রীরা যাতে বেলাইনে কাজ করতে না পারে সেজন্য এই ব্যবস্থা। যদিও পূর্ব রেলের সিপিআরও একলব্য চক্রবর্তী এটাকে সম্পূর্ণ বেআইনী প্রক্রিয়া বলে জানিয়েছেন। এমন তালিকা তৈরির কোনও নির্দেশ রেলের তরফে নেই বলে জানান তিনি। অভিযোগকারী যাত্রীও ব্যান্ডেলের সেই তালিকার প্রতিলিপি রেলমন্ত্রীকে পাঠিয়েছেন। যাতে দেখা গিয়েছে, একই নাম বারবার, হাতের লেখাও একই। এসবই স্পষ্ট করেছে এই তালিকা সম্পূর্ণ তাৎপর্যহীন। অনেকেই মনে করছেন এই ঘটনা থেকে এটা স্পষ্ট যে দালালচক্রের দৌরাত্ম্য প্রচণ্ড বেড়ে গিয়েছে। এবং রেলেরই একাংশ এই দুর্নীতিতে জড়িত।

[আরও পড়ুন: ‘ওকে ছাড়া বাঁচতে পারব না’, সুইসাইড নোট লিখে নাগেরবাজারে ‘আত্মঘাতী’ উঠতি মডেল]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ