Advertisement
Advertisement

সল্টলেক সেক্টর ফাইভে হকার উচ্ছেদের ঘোষণা, পালটা আন্দোলনের ডাক

খাবার না মেলায় সমস্যায় আইটি সংস্থার কর্মীরা৷

Traders protest eviction drive in Salt Lake

ফাইল ছবি।

Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 27, 2018 4:11 pm
  • Updated:July 27, 2018 4:11 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হকার উচ্ছেদ ঘিরে বিক্ষোভে ফুটছে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ৷ প্রতিবাদে, কর্মব্যস্ত শুক্রবারের সকাল থেকেই বনধ পালন করছিলেন সেখানকার হকার ও দোকানদাররা৷ দুপুর গড়াতেই বিক্ষোভে নামেন তাঁরা৷ ওয়েবেল মোড় থেকে শুরু হয় মিছিল৷ গোটা এলাকায় মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী৷ কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয় তার জন্য সজাগ রয়েছে প্রশাসন৷ এই ঝামেলার মাঝে পড়ে খাবার ও বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাবে ভুগতে হচ্ছে তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থাগুলিতে  কাজ করতে আসা প্রায় দেড় থেকে দু’লাখ কর্মীকে৷ প্রশাসনের আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত দোকান খুলবেন না, নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন হকাররা৷

[শহরে রমরমিয়ে চোরাই বাইকের কারবার, টাকা যাচ্ছে বাংলাদেশি জেহাদিদের তহবিলে]

Advertisement

হকার ইউনিয়নের অভিযোগ, তাঁদের দোকান উচ্ছেদ করার জন্য গতকাল হঠাৎই সল্টলেক সেক্টর ফাইভে মাইকিং করে যায় এনকেডিএ৷ ছিল না কোনও আগাম নোটিস বা নির্দেশিকা৷ ফলে এত বছর ধরে সেখানে দোকান চালানোর পর হঠাৎই কর্মসংস্থান নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন তাঁরা৷ বুঝে উঠতে পারছেন না এরপর কী করবেন৷ পাশাপাশি, পুনর্বাসনের বিষয়েও কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনও আশ্বাস দেওয়া হয়নি বলে সকালে সুর চড়িয়েছেন সল্টলেক সেক্টর ফাইভের দোকানিরা৷ তাঁদের পালটা হুঁশিয়ারি, যতদিন না কর্মসংস্থান সংক্রান্ত প্রশাসনিক নিশ্চয়তা মিলছে, ততদিন তাঁরা বন্ধ রাখবেন দোকান৷ দাবি পূরণের জন্য শুক্রবার দুপুর থেকেই সল্টলেক সেক্টর ফাইভ চত্বরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকেন কয়েক হাজার দোকানদার৷ যদিও, বিক্রেতাদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন৷ কর্তৃপক্ষের পালটা অভিযোগ, তাদের কাছে থাকা তালিকা অনুযায়ী সল্টলেক সেক্টর ফাইভের ওই অংশে ৭৫০টি দোকানকে ব্যবসা করার অনুমতি দেওয়া হয়৷ কিন্তু বেআইনিভাবে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার দোকান গজিয়ে উঠেছে সেখানে৷ তাঁদের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, কেবলমাত্র যে সমস্ত রাস্তা দিয়ে বাস চলাচল করে সেখানেই দোকান উচ্ছেদ করা হবে৷ অন্য কোথাও হবে না৷ কারণ দোকানের ফলে রাস্তা ছোট হয়ে যাচ্ছে এবং যথাযথ নিয়ম মেনে দোকান চালাচ্ছেন না বিক্রেতারা৷

Advertisement

[বউদির অশ্লীল ছবি নেটদুনিয়ায় ছড়াল দেওর, তারপর…]

প্রশাসন ও হকারদের এই দ্বন্দ্বের মধ্যে পড়ে ভুগতে হচ্ছে তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থায় কাজ করতে আসা বিভিন্ন সংস্থার কর্মীদের৷ সকাল থেকে সমস্ত দোকান বন্ধ থাকায় খাবারের কষ্টে ভুগতে হচ্ছে তাঁদের৷ বিশেষ করে অসুবিধার মুখে পড়েছেন মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্তবর্গের কর্মীদের একটা বিরাট অংশ৷ এমনকী, অনলাইনে খাবার অর্ডার দিলে সেই ডেলিভারি বয়কে এলাকায় ঢুকতে দিচ্ছেন না হকাররা, এমন অভিযোগও উঠে আসছে৷ তবে এই প্রথম নয়, যুব বিশ্বকাপ শুরুর আগেও ঠিক একইভাবে হকার ও ঝুপড়িবাসীদের উচ্ছেদ করা হয় এয়ারপোর্ট থেকে সল্টলেক, ভিআইপি রোড ও বাইপাসের দু’ধার, বিধাননগর পৌরনিগম এলাকায়৷ এক ধাক্কায় বাস্তুহারা হন ও কর্মস্থান খোয়ান হাজার হাজার বস্তিবাসী, হকার ও শ্রমজীবী মানুষ৷ ছড়িয়ে পড়ে প্রতিবাদ৷ সোচ্চার হয় এপিডিআর-সহ পঞ্চাশের বেশি সংগঠন নিয়ে গঠিত উচ্ছেদ বিরোধী যুক্তমঞ্চ।

তবে পরে পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাতিম বলেন, বৈধ দোকানদারদারদের পুনর্বাসন দেওয়া হবে। কিন্তু যারা একাধিক দোকান চালিয়ে উপার্জন করছে, তাদের রাখা হবে না।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ