Advertisement
Advertisement

Breaking News

Lake Town

মোবাইল টাওয়ার বসানোর নামে ভুয়ো অফিস খুলে কোটি টাকা প্রতারণা, লেকটাউনে ধৃত ২

বাজেয়াপ্ত একাধিক সামগ্রী, সিল করা হয়েছে ২টি অফিস।

Two arrested from Lake Town accussed of fraud in the name of mobile tower installation| Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:October 2, 2020 5:44 pm
  • Updated:October 2, 2020 5:46 pm

কলহার মুখোপাধ্যায়, বিধাননগর: যেমন তেমনভাবে প্রতারণা নয়। মোবাইল সংস্থার হয়ে বিভিন্ন জায়গায় টাওয়ার (Mobile Tower Installation) বসানোর জন্য রীতিমত দু-দুটি অফিস খুলে বসা, সেখানে চাকরি দেওয়ার নাম করে কোটি টাকা আত্মসাৎ – কলকাতার বুকে এভাবেই বেশ জাঁকিয়ে বসেছিল জনা কয়েক যুবক। দেখে বোঝার উপায় নেই যে সংস্থাটি আসলে ভুয়ো। তবে সেই জারিজুরি বেশিদিন স্থায়ী হল না। এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে প্রায় কোটি টাকা-সহ গ্রেপ্তার করেছে ২ জনকে। সিল করে দেওয়া হয়েছে লেকটাউনের (Lake Town) অফিস।

Advertisement

দমদম বিমানবন্দর লাগোয়া ইটালগাছা এলাকার বাসিন্দা কাশীনাথ সেন বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন যে লেকটাউনের ওই দুটি অফিস মোবাইলের টাওয়ার বসানোর নামে আর্থিক প্রতারণা করছে। চাকরি দেওয়ার নাম করে আত্মসাৎ করা হচ্ছে প্রচুর টাকা। প্রথমদিকে ব্যাপারটি কেউ বুঝতে পারেননি। অনেকেই মোবাইল টাওয়ার বসানো কিংবার চাকরি পাওয়ার জন্য এই সংস্থায় টাকা দিয়েছেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর না কোনও এলাকায় মোবাইল টাওয়ার বসেছে, না কেউ চাকরি পেয়েছেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘বাংলার পাড়ায় পাড়ায় খুন, ধর্ষণ হচ্ছে’, হাথরাস ইস্যুতে সাফাই দিলীপ ঘোষের]

অভিযোগকারী কাশীনাথ সেন নিজেই প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা দিয়ে বসেছিলেন এই সংস্থায়। কিন্তু কাজ না হওয়ায় তাঁর সন্দেহ হয়। এরপরই সংস্থা টাকা দানকারী সকলেই একে একে বুঝতে পারেন যে সবার চোখে ধুলো দিয়ে আসলে লেকটাউনের ওই দুটি অফিস আর্থিক প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে। এরপরই অভিযোগ দায়ের এবং পুলিশি তদন্তে হাতেনাতে মিলল প্রমাণ। গ্রেপ্তার হলেন দুই অফিসের দুই কর্ণধার।

[আরও পড়ুন: ৭ মাস পর খুলল আলিপুর-সহ রাজ্যের সব চিড়িয়াখানা, জেনে নিন প্রবেশের নিয়ম]

বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট (Bidhannagar City Police) সূত্রে খবর, গ্রেপ্তার করা হয়েছে বছর সাতাশের দেবব্রত চক্রবর্তী ও তিরিশ বছরের সৌমিক দেবনাথকে। তাঁরাই দুটি সংস্থা চালাচ্ছিলেন। লেকটাউনের বাঙ্গুর অ্যাভিনিউর অফিস থেকে উদ্ধার হয়েছে নগদ ৫০ হাজারের কিছু বেশি টাকা, এটিএম কার্ড, ব্যাংকের কাগজপত্র। সেসবই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এর পিছনে আরও বড় কোনও প্রতারণা চক্র সক্রিয় কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আজই ধৃতদের বিধাননগর মহকুমা আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ