Advertisement
Advertisement
স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন

ট্রপিক্যাল মেডিসিনে ফের করোনার থাবা, ২ আয়ার শরীরে ভাইরাস সংক্রমণ

এর আগে এই হাসপাতালের ৩ কর্মীর শরীরে থাবা বসিয়েছিল করোনা ভাইরাস।

Two worker of School of tropcal medicine tested covid 19 positive
Published by: Sayani Sen
  • Posted:April 27, 2020 4:58 pm
  • Updated:April 27, 2020 4:58 pm

গৌতম ব্রহ্ম: রাজ্যে ফের আরও দু’জনের শরীরে মিলল করোনা সংক্রমণের হদিশ। স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের দুই আয়ার শরীরে ভাইরাসের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। এর আগে এই হাসপাতালের তিনজনের শরীরে থাবা বসিয়েছিল করোনা ভাইরাস। নতুন করে আক্রান্ত দু’জনকে টালিগঞ্জের এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। শুরু হয়েছে গোটা হাসপাতাল জীবাণুমুক্ত করার কাজ।

মূলত বাজারে ঘুরে ঘুরে চিকিৎসক এবং রোগীদের জন্য ফল-সহ অন্যান্য খাবারদাবার কিনে আনার কাজ ছিল স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের দুই আয়ার। সেই অনুযায়ী তাই করতেন তাঁরা। তবে দিনকয়েক অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই দু’জন। তাঁদের নমুনা পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়। রবিবার তাঁদের পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে আসে। তাতেই জানা যায়, ওই দুই মহিলা করোনা আক্রান্ত। তাঁদের টালিগঞ্জের এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। এদিকে, আয়াদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর সামনে আসার পর থেকেই আতঙ্কে হাসপাতালের অন্যান্যরা। তাই তড়িঘড়ি হাসপাতাল জীবাণুমুক্ত করার কাজ শুরু হয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ভিনরাজ্যে আটকে পড়া বাংলার পড়ুয়া ও বাসিন্দাদের ফেরাচ্ছেন মমতা]

এ প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের অধিকর্তা ডঃ প্রতীপ গুহ বলেন, “দুই আয়ার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ হওয়ার পরই সবরকম সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে। তাঁদের সংস্পর্শে আসা প্রত্যেককে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের কারও উপসর্গ দেখা দিলেই পরীক্ষা করা হবে।” এর আগে স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনেও করোনা থাবা বসিয়েছিল। দুই আয়াদের আগে আরও তিনজনের শরীরে করোনা সংক্রমণের হদিশ পাওয়া যায়। তাঁদের মধ্যে একজন স্টোর কিপার কাম ফার্মাসিস্ট। তিনি পার্ক সার্কাসের বাসিন্দা। এছাড়াও দু’জন ছিলেন গ্রুপ ডি কর্মী। তাঁরাও বর্তমানে চিকিৎসাধীন। ওই তিনজনের সংস্পর্শে আসা প্রত্যেককেই কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

Advertisement

উল্লেখ্য, শনিবার রাতে রাজ্যের করোনা সংক্রমিত এক শীর্ষ স্বাস্থ্যকর্তার মৃত্যু হয়। তিনি সল্টলেকের এক বেসরকারি হাসপাতালে বেশ কয়েকদিন ধরে ভরতি ছিলেন। সেখানেই মারা যান তিনি। তাঁর সুগার ছিল। এছাড়াও মাসখানেক আগে হৃদযন্ত্রের একটি অস্ত্রোপচারও হয়েছিল তাঁর। তাই করোনা সংক্রমিত হয়ে মৃত্যু নাকি অন্য কোনও কারণে মারা গিয়েছেন তিনি, তা খতিয়ে দেখছে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর।

[আরও পড়ুন: নয়া অবতারে মদন মিত্র, অনলাইনে প্রবাসী বন্ধুদের কাউন্সেলিংয়ের দায়িত্বে তিনি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ