সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী চারদিন বন্ধ কলকাতার অন্যতম ব্যস্ত উড়ালপুল। স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত বন্ধ উল্টোডাঙা উড়ালপুল (Ultadanga Flyover)। ভিআইপি রোড থেকে বাইপাশ সংযোগকারী এই উড়ালপুল বন্ধ থাকায় স্বাভাবিকভাবেই ওই রুটে বেড়েছে যানজট। পুলিশ তৎপরতার সঙ্গে গাড়ি পাশ করানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।
উল্টোডাঙার মুখ থেকে বাইপাসে পৌঁছনোর সবচেয়ে সহজ রাস্তা হল এই উড়ালপুল। বাইপাসগামী গাড়িগুলি হাডকো মোড়ের বদলে উড়ালপুল ধরে যাতায়াত করে। স্বাস্থ্যপরীক্ষার স্বার্থে বন্ধ থাকবে সেই উড়ালপুল।
বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত এই উড়ালপুলে গাড়ি চলবে না। এমনটাই জানিয়েছে কেএমডিএ। স্বাস্থ্যপরীক্ষার পাশাপাশি রাস্তার পরিস্থিতি চিহ্নিত করতে বসবে আরপিএমও। উড়ালপুল বন্ধ থাকার দরুন উল্টোডাঙা মুখে যানজট তৈরি হচ্ছে। এদিকে বন্ধ রয়েছে প্রাচী সিনেমাহল থেকে শিয়ালদহের দিকে যাওয়ার ফুটব্রিজও। ফলে গাড়ি ঠাসা রাস্তা দিয়ে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করতে হচ্ছে সকলকে।
[আরও পড়ুন: একবালপুরের নার্সিংহোমে ভাঙচুর, বাইরে থেকে লোক নিয়ে গিয়ে ‘হামলা’]
এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়ার পরই চিংড়িঘাটা উড়ালপুল নিয়ে তৎপর হয়েছে পুলিশ। এদিন বিকেলে চিংড়িঘাটায় উপস্থিত হন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য, বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার সুপ্রতিম সরকার, কলকাতা পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) সন্তোষ পাণ্ডে ও কলকাতা এবং বিধাননগরের অন্য পুলিশ আধিকারিকরা। তাঁরা চিংড়িঘাটা এলাকাটি প্রদর্শন করেন। রাস্তায় দাঁড়িয়েই বৈঠক করেন পুলিশকর্তারা।
এ ব্যাপারে পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্রকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক) বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। যৌথ সহযোগিতায় এই দুর্ঘটনার সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে। কয়েকটি পরিকল্পনাও করা হচ্ছে। ফের যৌথ বৈঠক হবে।” লালবাজারের ট্রাফিক পুলিশের এক কর্তা জানান, প্রাথমিকভাবে কলকাতা ও বিধাননগর দুই কমিশনারেটই চিংড়িঘাটা ও তার সংলগ্ন এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশকর্মী নিয়োগ করেছে। যৌথভাবে প্রতে্যকটি গাড়ির উপর গতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ, মানিকতলার নার্সিংহোমে ৮ বছরের শিশুর মৃত্যু]
পথচারীদের রাস্তা পারাপার নিয়ন্ত্রণ করতে ‘গেট’ বসানো হয়েছে। বাসগুলি যাতে ‘বাস বে’ দিয়েই চলাচল করে, সেই ব্যাপারে পুলিশ আরও কড়া হচ্ছে। ডিভাইডারের মতো কিছু ‘ট্রাফিক আসবাব’ পুরনো হয়ে গিয়েছে। সেগুলি পাল্টানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও নতুন ‘ট্রাফিক আসবাব’ও বসানোর পরিকল্পনা চলছে। প্রয়োজনে সিসিটিভির সংখ্যাও বাড়ানো হতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ।