প্রতীকী ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নন স্টপ ১২ ঘন্টা, এবং সপ্তাহে ৪৮ ঘন্টার বেশি কোনওভাবেই ডিউটি করার নিয়ম নেই ডাক্তারির স্নাতকোত্তর পড়ুয়া বা পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি (পিজিটি)-দের। কিন্তু বাস্তব চিত্র পুরোটাই উলটো। লাগাতার ৩৬ ঘণ্টা আর সপ্তাহে কমপক্ষে ৬০ ঘণ্টা ডিউটির পরে পিজিটিরা মানসিক ও শারীরিকভাবে বিধ্বস্ত, ক্লান্ত। গোটা দেশেই এহেন অনিয়ম এখন নিয়মের মোড়কে। তাই সমস্যার স্থায়ী সুরাহার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখল ইউনাইটেড ডক্টর্স ফ্রন্ট (ইউডিএফ)। চিঠিতে এমন ডিউটিকে ‘অমানুষিক’ আখ্যা দিয়েছেন আবাসিক পিজিটি–রা। তাঁদের দাবি, এতে শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির পাশাপাশি তাঁদের পঠনপাঠনেও ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
চিঠিতে রেসিডেন্ট ডক্টর্স বা পিজিটি-রা প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন, ১৯৯২ সালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক ‘ইউনিফর্ম রেসিডেন্সি স্কিম’ ঘোষণা করেছিল, সেই নিয়ম মেনে তাঁদের ডিউটির সময়ে ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়া হোক। এই অভিন্ন আবাসিক স্কিম মন্ত্রক তৈরি করেছিল সুপ্রিম কোর্টের একটি ১৯৮৭ সালের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে। স্নাতকোত্তর পড়ুয়াদের করা একটি মামলার প্রেক্ষিতে ওই রায় শুনিয়েছিল শীর্ষ আদালত। কিন্তু পিজিটি–রা হতাশ, বাস্তবে সেই বিধির কোনও প্রতিফলন দেখা যায় না। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই পুরোনো সেই কথা তাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে মনে করিয়ে দিয়েছেন চিঠি লিখে। যার ছত্রে ছত্রে রয়েছে পিজিটি–দের অমানুষিক ডিউটিতে বিধ্বস্ত হয়ে যাওয়ার বর্ণনা।
ইউডিএফের তরফে আয়োজিত একটি সাংবাদিক বৈঠকে অভিযোগ করা হয়, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক ইউনিফর্ম সেন্ট্রাল রেসিডেন্সি স্কিমের মাধ্যমে পিজিটিদের ডিউটির সময় নিয়ে সব মেডিক্যাল কলেজকে নির্দেশিকা দিলেও গত তিন দশকে তা পালন করে না দেশের অধিকাংশ মেডিক্যাল কলেজই। উলটে একপ্রকার জোর করেই তাঁদের দিয়ে অতিরিক্তি অঢেল কাজ করানো হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। সংগঠনের তরফে অবিলম্বে তাঁদের ডিউটি আওয়ার দেশজুড়ে বেঁধে দেওয়ার দাবি তোলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউডিএফের সর্বভারতীয় সভাপতি লক্ষ্য মিত্তল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.