Advertisement
Advertisement

Breaking News

অটো

অটো-টাক্সি-ক্যাবে এবার তোলা যাবে চারজন যাত্রী, কলকাতায় শীঘ্রই নামছে বেসরকারি বাসও

মঙ্গলবার বাসের অভাবে চরম দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ।

Unlock 1: Now Cabs to take four passengers, buses to ply on road

ফাইল ছবি।

Published by: Sulaya Singha
  • Posted:June 2, 2020 9:05 pm
  • Updated:June 2, 2020 9:05 pm

নব্যেন্দু হাজরা: আর দু’জন নয়, এবার থেকে চারজন যাত্রী নিয়েই ছুটতে পারবে অটো, টাক্সি, ক্যাব। যাত্রী ভোগান্তি কমাতে আনলক ফেজ ওয়ানে নয়া নির্দেশিকা পরিবহন দপ্তরের। নির্দেশিকায় ট্যাক্সি-অটোর কথা উল্লেখ না করলেও সেখানে জানানো হয়েছে, যে কোনও গাড়িতে যতজনের সিট তত ক্যাপাসিটি ততজনই বসতে পারবে। সেই হিসাবে অটো ও ট্যাক্সিতে চারযাত্রীরই বসার কথা।

এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন যতগুলি সিট ততজন যাত্রী বসতে পারবেন বাসে। তখনই অটো চালকরা বলেছিলেন, বাসে যদি বসা যায় তবে অটোতে কেন নয়! তারপরই রাজ্য পরিবহন দপ্তরের এই নির্দেশিকা। এর ফলে আগের ভাড়াতেই এবার যাত্রী নিতে হবে অটো এবং ট্যাক্সি চালকদের। দিন কয়েক ধরে দু’জন যাত্রীর অজুহাতে প্রায় দ্বিগুণ ভাড়া হাঁকছিলেন অটোচালকরা। তা আর হবে না।

Advertisement

এদিকে রাস্তায় বাস নামানোর ক্ষেত্রে সুর নরম করেছে বেসরকারি বাস মালিকরা। মঙ্গলবার পরিবহন ভবনে একাধিক দাবি নিয়ে স্মারকলিপি জমা দেন তাঁরা। তারপরই জানান, সরকার বেশ কিছু দাবি ন্যায্য বলেছে, তাই তাঁরাও আলোচনা করে দেখছেন যত দ্রুত সম্ভব বাস নামানো যায়। তবে সোমবারের মতো মঙ্গলবারও রাস্তায় বেরিয়ে বাসের অভাবে চরম দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ। বাসের জন্য কেউ লাইনে দাঁড়িয়েছেন তিন ঘণ্টা, কেউ বা আরও বেশি। অফিস থেকে ফেরার সময় মাঝ স্টপেজে দাঁড়িয়ে থেকে বাসে উঠতে না পেরে আরও সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: রাজ্যপালকে ‘মস্তান’ বললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বক্তব্য প্রত্যাহার চাইল রাজভবন]

সকালের দিকে কোনও কোনও বাসে দেখা গিয়েছে বাদুড়ঝোলা ভিড়। স্বাস্থ্যবিধির নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই চাকরি বাঁচাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষ অফিসমুখো হয়েছেন। সরকারের তরফে প্রথম ট্রিপেই প্রায় ৪০০ বাস নামানো হলেও রাস্তায় বেরনো মানুষের তুলনায় তা ছিল সামান্য। ধর্মতলা থেকে এম জি রোড, ডানলপ থেকে গড়িয়াহাট সর্বত্রই ছিল বাস ধরার জন্য মানুষের হাহকার। চড়া রোদে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে কেউ কেউ তো রীতিমতো অসুস্থতা বোধ করেছেন। দু-একটি সংগঠনের বেসরকারি বাস রাস্তায় নামলেও তা ছিল মেরেকেটে শ’দেড়েক। ফলে মানুষের হয়েছে হয়রানি।

তবে বেসরকারি বাস মালিকদের চারটি সংগঠন এদিন পরিবহন দপ্তরে গিয়ে একাধিক দাবি-সহ একটি স্মারকলিপি জমা দেয়। তারপর বাস নামানোর ব্যাপারে সুর নরম করেন। জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের দাবি দাওয়ার কথা পরিবহন দপ্তরের কর্তারা শুনেছেন। আমরা আলোচনা করে দেখছি কবে থেকে বাস নামানো যায়!” তবে ভাড়া বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সরকারের অনমনীয় মনোভাব দেখে এদিন ভাড়ার কথা বিশেষ বলতে শোনা যায়নি বাস মালিকদের।

[আরও পড়ুন: ‘বাংলার কোয়ারেন্টাইন সেন্টারগুলি মৃত্যুর আঁতুরঘর’, নতুন পদ পেয়েই রাজ্যকে বিঁধলেন সায়ন্তন]

এদিকে অটো প্রসঙ্গে উত্তর কলকাতা আইএনটিটিইউসির সভাপতি মানা চক্রবর্তী বলেন, “সরকার যেমন গাইডলাইন বেঁধে দিচ্ছে তেমনভাবেই অটো চলাচল করতে হবে।” ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্যাক্সি অপারেটর অর্ডিনেশন কমিটির আহ্বায়ক নাওয়াল কিশোর শ্রীবাস্তব বলেন, “সরকারের তরফে জানানো হয়েছে এবার থেকে ট্যাক্সিতে চার জন যাত্রী নেওয়া যাবে। ফলে মানুষের অনেক সুবিধা হল।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ