সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্লাস্টিক ডিম কাণ্ডে এবার সিপিএম নেতা রবীন দেবের ভাইপো সুমিত দেবকে তলব করল লালবাজারের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। জানা গিয়েছে, শিয়ালদহ মার্কেটে ডিমের পাইকারি ব্যবসা রয়েছে সুমিত দেবের। প্লাস্টিক ডিমের ঘটনায় প্রথম ধৃত ব্যবসায়ী শামিম আনসারি জেরায় সুমিত দেবের কথা জানায় গোয়েন্দাদের। ওই ব্যবসায়ীর দাবি, সুমিত দেবের কাছ থেকে ডিম কিনেছিল সে। শামিমকে ডিম বিক্রির কথা স্বীকার করলেও প্লাস্টিক ডিম বিক্রির কথা অস্বীকার করেছেন সুমিত। এই ঘটনায় রবীন দেবের ভাইপো ছাড়াও আরও কয়েকজন ব্যবসায়ীকে তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ।
অন্যদিকে, প্লাস্টিক ডিম কাণ্ডে হাওড়ার বিভিন্ন বাজারে তল্লাশি চালিয়েছে পুরসভা। শনিবার সকাল থেকেই তল্লাশি চালায় হাওড়া পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ। তল্লাশি অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) ভাস্কর ভট্টাচার্য। সর্বত্র ভাঙা ডিম বিক্রি করতে নিষেধ করা হয়েছে পাইকারি ও খুচো ব্যবসায়ীদের। প্লাস্টিক ডিম বিক্রি করলে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, পার্ক সার্কাসের শামিম আনসারির দোকান থেকেই ডিম কিনেছিলেন গৃহবধূ অনিতা কুমার। ডাক্তাররা বাচ্চাকে ডিম খাওয়ানোর পরামর্শ দেন। তাই বাচ্চাকে খাওয়ানোর জন্যই ডিম কিনেছিলেন। কিন্তু আদতে যে তা ডিমই নয়। কোথায় কুসুম, কোথায় সাদা অংশ! আগুনের সামনে আনতেই তা প্লাস্টিকের মতো কুঁকড়ে গলে যাচ্ছে। এরপর আর বুঝতে অসুবিধা থাকে না যে, সাধারণ ডিমের নামেই বাজারে দেদারে বিকোচ্ছে প্লাস্টিকের ডিম। গৃহবধূ জানাচ্ছেন, “প্রথম থেকেই আমার শঙ্কা ছিল। ভেবেছিলাম ডিমটা খারাপ বা নষ্ট হতে পারে। কিন্তু ওমলেট করতে গিয়ে দেখলাম ওটা তো ডিমই নয়। বাচ্চাদের কিন্ডার জয়-এর যেরকম মোড়ক হয়, অনেকটা তার মতোই। গরম তাওয়ায় পড়া মাত্র তা থেকে প্লাস্টিক পোড়া দুর্গন্ধ বেরচ্ছে। গলে জমে জমে যাচ্ছে। ” তারপর তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গ্রেপ্তার করে ব্যবসায়ী শামিম আনসারিকে।