সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লি বিধানসভার নির্বাচনের প্রচারে এসে গুলি চালানোর নিদান দিয়েছেন বিজেপি নেতারা। প্রচারে এসে বিরোধীদের বিরুদ্ধেও সুর চড়িয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রীও। এবার বিজেপি নেতৃত্বের ক্রমাগত প্ররোচনামূলক মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “বিজেপি ভয় দেখানোর রাজনীতি করছে। দেশজুড়ে বিভেদের রাজনীতি করছে ওরা। কথায়-কথায় গুলির নিদান দিচ্ছে। দেশে হচ্ছেটা কী?”
৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচন। রাজনৈতিক মহলের কথায়, দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রচারের শেষ ল্যাপে মরণ কামড় দিতে কোমর বেঁধেছে বিজেপি। তাই যোগী-সহ বিজেপির একাধির হেভিওয়েট নেতাকে মাঠে নামিয়ে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, গেরুয়া শিবিরের নেতৃত্বের প্রচারে এটা স্পষ্ট যে, এই নির্বাচনে বিজেপির মূল হাতিয়ার শাহিনবাগ সহ-CAA বিরোধী সমস্ত আন্দোলন বিরোধিতা। দিল্লির উন্নয়নের বদলে আপ সরকার এই আন্দোলনে ইন্ধন জুগিয়ে দিল্লিবাসীর সমস্যা তৈরি করছে, তা প্রমাণ করতে মরিয়া গেরুয়া ব্রিগেড। উপরন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থেকে দিল্লির গেরুয়া শিবিরের নেতারা, প্রায় প্রত্যেকেই প্ররোচনামূলক মন্তব্য করছেন তাঁরা। এমনকী বিরোধীদের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর নিদানও দিচ্ছেন।
সোমবার বিকেলে নবান্ন থেকে বেরনোর সময় গেরুয়া শিবিরের নেতাদের বিরুদ্ধে সরব হন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করেই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সবাইকে সন্ত্রাসবাদী বলে দেগে দিচ্ছে ওরা। এটা কোন দেশে হয়? সবাই সন্ত্রাসবাদী, ওরা তাহলে কী?” তিনি আরও বলেন, “ওরা দেশকে বিভাজিতই করতে চায়। আমরা স্বামী বিবেকানন্দ, নেতাজি সুভাষচন্দ্রের মাটিতে থাকি। এখানে বিভাজন চলে না ” মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, “বিজেপি মানুষের পাশে নেই, শুধু উসকানি দিয়েই ফায়দা লোটার চেষ্টা করে ওরা। ওরা আসলে সুযোগসন্ধানি।” অশান্তি করার জন্য প্রশাসনকেও ব্যবহার করে বিজেপি, এদিন এমনও অভিযোগ করেন মমতা। এ প্রসঙ্গে তিনি জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে পুলিশের লাঠি চালানোর কথা টেনে আনেন। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “যেখানেই আন্দোলন হচ্ছে, সেখানেই গুলি চালানো হচ্ছে। কখনও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে ঢুকে গুলি চালানো হচ্ছে তো কখনও বাইরে। এসব কী হচ্ছে!”
এর আগে চিঁড়ে খাওয়া নিয়ে বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র মন্তব্য নিয়েও তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “দেশে কে চিঁড়ে খাবেন, সেটা কি বিজেপি ঠিক করবে? চিঁড়ে খেলে নাকি মানুষ চেনা যায়, জীবনে শুনিনি। পোশাক দেখেও নাকি চেনা যায়, শুনিনি এ সব। এ জিনিস কখনওই মেনে নেওয়া যায় না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.