সন্দীপ চক্রবর্তী: এ বছর ডুরান্ড কাপের আসর বসছে কলকাতায়। বুধবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে খেলাশ্রী পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে একথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘ মাত্র ১২ ঘণ্টায় অনুর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল আয়োজন করেছে ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দপ্তর। বাংলার কাজে খুশি ফিফা।’ অনুষ্ঠানে চুনী গোস্বামী, কৃষ্ণেন্দু রায়, মানস ভট্টাচার্য, গুরুবক্স সিংহের মতো ক্রীড়া ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন।
[সাধারণতন্ত্রের উৎসবে সাজছে শহর, যুদ্ধজাহাজের পাশে তৈরি ঐতিহ্যের ট্রামও]
তৃণমূল জমানায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃতীদের রাজ্য সরকারের তরফে পুরস্কৃত করার রেওয়াজ চালু হয়েছে। বুধবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ক্রীড়াবিদদের খেলাশ্রী পুরস্কার দিল ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দপ্তর। বিভিন্ন বিভাগে পুরস্কার পেলেন ফুটবলার, ক্রিকেটার, অ্যাথলিট, সাঁতারু-সহ রাজ্যের কৃতী ক্রীড়াবিদরা। সারা জীবনের অবদানের জন্য জীবনকৃতি পুরস্কার দেওয়া হল অ্যাথলিট রীতা সেন ও প্রাক্তন ফুটবলার অরুণ ঘোষকে। বিশেষ পুরস্কার পেলেন অনুর্ধ্ব-১৭ জাতীয় দলের ফুটবলার রহিম আলি, জিতেন্দ্র সিং ও অভিজিৎ সরকার, তিরন্দাজ তৃষা দেব, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, সাঁতারু সায়নী দাস-সহ আর অনেকে। ময়দানের পরিচিত রেফারি প্রাঞ্জল বিশ্বাসকেও পুরষ্কৃত করল রাজ্য ক্রীড়া দপ্তর।
[শহরে যৌন হেনস্তার শিকার ৬ বছরের শিশু, গ্রেপ্তার প্রতিবেশী যুবক]
এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে কৃতী ক্রীড়াবিদদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আগে এ রাজ্যে খেলাধুলাকে গুরুত্ব দেওয়া হত না। কিন্তু, বর্তমান সরকারে আমলে খেলাধুলার বাজেট প্রায় ছয় গুণ বেড়েছে। ১৯টি নতুন স্টেডিয়াম তৈরি করেছে সরকার। ১৫ হাজার ক্লাবকে অনুদান দিয়েছে ক্রীড়া দপ্তর। রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন প্রাক্তন ক্রীড়াবিদরাও। এদিন কলকাতায় অনুর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে সফলভাবে আয়োজন করার জন্য ক্রী়ড়া দপ্তরের ভুয়সী প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘মাত্র ১২ ঘণ্টায় কলকাতা সেমিফাইনাল আয়োজন করেছে রাজ্য সরকার। বাংলার কাজে ফিফা খুশি।’ নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে রাজ্য সরকারের খেলাশ্রী পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন চুনী গোস্বামী, কৃষ্ণেন্দু রায়, মানস ভট্টাচার্য, বিদেশ বসু, সমরেশ চৌধুরির মতো অতীতের তারকা ফুটবলাররা। ছিলেন প্রাক্তন হকি তারকা গুরবক্স সিংও।
[আচমকা উধাও সিভিক ভল্যান্টিয়াররা, সুযোগে বিনা হেলমেটে বাড়ছে যাত্রা]