Advertisement
Advertisement

Breaking News

‘পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেতে আপত্তি কোথায়’, চাকরি বাতিল মামলায় ডিভিশন বেঞ্চেও প্রশ্নের মুখে পর্ষদ

সিঙ্গল বেঞ্চ তো আর চাকরিহারাদের নেকড়ের মুখে ফেলে দেয়নি, মন্তব্য ডিভিশন বেঞ্চের।

WBBPE questioned by Calcutta High Court division Bench | Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:May 16, 2023 6:54 pm
  • Updated:May 16, 2023 6:54 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েও প্রশ্নের মুখে পড়তে হল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে (WBBPE)। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতীম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ এদিন পর্ষদের কাছে একাধিক প্রশ্নের ব্যাখ্যা চেয়েছে।

বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতীম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ এদিন পর্ষদের আইনজীবীদের প্রশ্ন করেন, “চাকরিহারাদের তো আর নেকড়ের মুখে ফেলে দেয়নি সিঙ্গল বেঞ্চ। প্রত্যেককেই প্রক্রিয়ার মধ্যে রাখা হয়েছে। যাতে আবার সবাই সুযোগ পায়। পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেতে সমস্যা কোথায়?” ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে কিছু কঠিন বাস্তব তুলে ধরা হয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: দিল্লির আফগান দূতাবাসে জোর করে ঢোকার চেষ্টা তালিবান ‘কূটনীতিকে’র, রুখে দিল কর্মীরাই!]

পর্ষদের কাছে জানতে চাওয়া হয়, ‘পর পর অনেকে ইন্টারভিউ-অ্যাপটিচিউড টেস্টে ৯.৫, ১০ পেয়েছে। এটা কী করে সম্ভব? যার জবাবে পর্ষদ জানায়, ‘হাজার হাজার প্রার্থী। তাই অনেকে একই নম্বর পেতেই পারেন।’ এরপরই ডিভিশন বেঞ্চের প্রশ্ন ছিল, এরা অপ্রশিক্ষিত ছিল বলেই চাকরি বাতিল নাকি অন্য কোনও কারণ ছিল? জবাবে চাকরিহারাদের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee) বলেন, ‘বাঙালির মেনুতে শেষ পাতে চাটনি থাকে। হাই কোর্টেও দুর্নীতি চাটনির মতো হয়েছে। আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়েই ফাঁসি, এ কেমন রায়?’ শুনে বিচারপতি তালুকদার বলেন, চাকরি পরে হবে, আগে মেন কোর্স শেষ হোক।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করবেন না’, বিরোধীদের অভিযোগের মধ্যেই ইডিকে হুঁশিয়ারি সুপ্রিম কোর্টের]

এদিন ডিভিশন বেঞ্চে পর্ষদ দাবি করেছে, সিঙ্গল বেঞ্চ সব কথা শোনেনি। ৭ বছর আগে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। সেই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ইন্টারভিউয়াররা সবটা হয়তো মনে করে বলতে পারেননি। কয়েকজন ইন্টারভিউয়ারের বক্তব্যের ভিত্তিতে চাকরি বাতিল সঙ্গত নয়। মঙ্গলবার মামলার শুনানি অসম্পূর্ণভাবেই শেষ হয়। এদিন সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে কোনওরকম স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়নি। বুধবার বিকাল ফের শুনানি এই মামলার।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ