Advertisement
Advertisement
West Bengal Assembly Elections Election Commission

মমতার আগে কমিশনের কোপে পড়েছেন শাহ-যোগীরাও, অল্পের জন্য ‘ছাড়’ পান মোদি

জেনে নিন এর আগে কোন কোন নেতা প্রচার বন্ধের শাস্তি পেয়েছেন।

West Bengal Assembly Elections: Election Commission has barred many leaders from campaigning before Mamata Banerjee | Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:April 13, 2021 11:52 am
  • Updated:April 13, 2021 12:02 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) একা নন। বিতর্কিত মন্তব্য করে এর আগে নির্বাচন কমিশনের রোষের মুখে পড়তে হয়েছে বহু শীর্ষনেতাকে। তালিকায় আছে অমিত শাহ, যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath), মায়াবতী, হিমন্ত বিশ্বশর্মাদের মতো নেতাদের নামও। এঁদের প্রত্যেকের উপরই চাপানো হয়েছিল নিষেধাজ্ঞা। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ উঠেছিল খোদ প্রধানমন্ত্রী মোদির বিরুদ্ধেও। যদিও, শেষপর্যন্ত তাঁকে কোনও শাস্তি পেতে হয়নি।

মমতার আগে যেসব হেভিওয়েটের প্রচারে নির্বাচন কমিশন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল, তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বড় নাম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর। ২০১৪’র লোকসভা ভোটের সময় অমিত শাহের নির্বাচনী প্রচারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কমিশন। মুজফফরনগরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের প্রসঙ্গ তুলে সংখ্যালঘুদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে দিয়েছিলেন বদলা নেওয়ার নিদান। সেজন্যই কমিশনের (Election Commission) রোষের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা এরাজ্যে বিজেপির তারকা প্রচারক যোগী আদিত্যনাথকেও এর আগে ধর্মীয় মেরুকরণের চেষ্টার অভিযোগে কমিশনের শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছিল। উনিশের লোকসভার প্রচারে গিয়ে রাজস্থানের এক সভায় ‘আলি বনাম বজরংবলি’ মন্তব্য করেন যোগী। যার জেরে ৭২ ঘণ্টা তাঁর প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে কমিশন। এছাড়াও মায়াবতী, আজম খান, নভজ্যোত সিং সিধুদের মতো হেভিওয়েট নেতারা প্রচারে নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হয়েছেন। সদ্য অসমের নির্বাচন প্রক্রিয়া চলাকালীন সেরাজ্যে বিজেপির (BJP) অন্যতম প্রধান মুখ হিমন্ত বিশ্বশর্মাকেও নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। যদিও, পরে ক্ষমা চেয়ে নেওয়ায় হিমন্তর শাস্তি কমিয়ে অর্ধেক করে দেওয়া হয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: পঞ্চম দফার আগে আরও সতর্ক কমিশন, মোতায়েন হচ্ছে লক্ষাধিক আধাসেনা]

তবে, এর আগে বহু নেতা যেমন শাস্তি পেয়েছেন, তেমনই কমিশনের বদান্যতায় শাস্তি এড়ানোর নজিরও রয়েছে। ২০১৯ লোকসভার প্রচারের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) একটি মন্তব্য নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়। লাতুরের ওই সভায় প্রধানমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়,’আমি আমার যুবসমাজ তথা নতুন ভোটারদের কাছে আবেদন করব, এবারের ভোটটা কি আমাদের সেই বীর সেনা জওয়ানদের নামে দেওয়া যায় না, যারা বালাকোটে পাক জঙ্গি ঘাঁটি উড়িয়ে এসেছে।’ কংগ্রেস কমিশনে দাবি করে, সেনা জওয়ানদের বীরত্বকে ভোটপ্রচারে কাজে লাগিয়ে নিয়ম ভাঙছেন মোদি। নির্বাচন কমিশন সেই অভিযোগ গ্রহণ করে মোদির বিরুদ্ধে রিপোর্টও তলব করে। কিন্তু শেষপর্যন্ত মোদিকে কোনও শাস্তিই দেওয়া হয়নি। যা নিয়ে বিস্তর জলঘোলাও হয়।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ