Advertisement
Advertisement

Breaking News

West Bengal

কমিউনিটি হলে সেফ হোম! করোনা মোকাবিলায় রাজ্যের পাশে একাধিক পুজো কমিটি

প্রথম ক্যাবিনেট বৈঠকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত রাজ্যের।

West Bengal Clubs may be converted to safe homes, oxygen parlours as corona cases surge| Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:May 10, 2021 5:35 pm
  • Updated:May 10, 2021 5:52 pm

মলয় কুন্ডু: শপথ নিয়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) জানিয়েছিলেন, কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এই পরিস্থিতির মোকাবিলাই আপাতত তাঁর প্রাথমিক এবং সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য। সে কথা রাখলেন তিনি।করোনা সংক্রমণ রুখতে এবং অক্সিজেন সরবরাহ স্বাভাবিক করতে প্রথম ক্যাবিনেট বৈঠকেই একাধিক পদক্ষেপ করল রাজ্যের শাসকদল। পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্যের পাশে দাঁড়াল পুজো কমিটিগুলিও। আবার অক্সিজেন সংকট কাটাতেও বড় পদক্ষেপ করল রাজ্য।

ক্যাবিনেট বৈঠকের পরই সোমবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিই রাজ্য সরকারের নয়া সিদ্ধান্তগুলির কথা জানান। 

Advertisement
  • এবার কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় এগিয়ে এল পুজো কমিটিগুলিও। তাঁদের ক্লাব বা কমিউনিটি হলে তৈরি হবে সেফ হোম অথবা অক্সিজেন বুথ। ইতিমধ্যে সেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
  • অক্সিজেন সরবরাহ স্বাভাবিক করতে আগামী ২ মাসের মধ্যে রাজ্যে প্রায় সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে পিএসএ প্ল্যান্ট বসানো হবে।
  • ১৪ হাজার ইন্ডাস্ট্রিয়াল অক্সিজেন সিলিন্ডারকে মেডিক্যাল সিলিন্ডারে পরিণত করা হয়েছে। আরও ৬ হাজার সিলিন্ডারকে রূপান্তরিত করা হবে।

[আরও পড়ুন: হাই কোর্টে ধাক্কা কেন্দ্রের, খারিজ ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে SIT গঠনের দাবি]

  • অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটরের জন্য বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলি রাজ্যকে সাহায্য করছে। তারা ভেন্টিলেটরেরও ব্যবস্থা করছেন। 
  • অক্সিজেন সরবরাহের বিষয় নজরদারির জন্য অক্সিজেন ইন্টিগ্রেটেড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম তৈরি করছে রাজ্য। যা CIMS’এর সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হবে। 
  • যাঁরা ইতিমধ্যে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ পেয়ে গিয়েছেন, টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন তাঁরাই। বেসরকারি হাসপাতাল থেকে যাঁরা টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন, তাঁদের দ্বিতীয় ডোজ দেবে রাজ্য। এর জন্য ক্যালেন্ডার প্রকাশ করা হবে। কে কোন নিকটস্থ হাসপাতাল থেকে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেবেন, তা সরকার জানিয়ে দেবে। 
  • পর্যাপ্ত সংখ্যক টিকা এলে ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সিদের টিকা দেওয়া হবে। 
  • চুক্তির ভিত্তিতে চিকিৎসাকর্মী, নার্স, টেকনিশিয়ান নিয়োগ করবে রাজ্য। সরাসরি ওয়াক-ইন-ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে নিয়োগ হবে। 
  • প্রয়োজনে এমবিবিএসের চূড়ান্ত পর্বের পড়ুয়াদের কাজে লাগানো হতে পারে।
  • প্রতিটি পঞ্চায়েত এবং পুর এলাকায় অন্তত একটি অ্যাম্বুল্যান্স এবং শববাহী যান রাখার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।   

[আরও পড়ুন: ‘সম্পূর্ণ লকডাউনের পক্ষে নই’, মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে করোনাবিধি আরও কঠোর করলেন মমতা]

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ