স্টাফ রিপোর্টার: করোনা (coronavirus) চিকিৎসায় বেসরকারি হাসপাতালের খরচে লাগাম টানতে অ্যাডভাইজরি জারি করেছিল স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশন। বেডভাড়া কমানো থেকে সর্বত্র রেট চার্ট ঝুলিয়ে রাখার সে নির্দেশ মানা অসম্ভব, এমন ইঙ্গিত দিয়েছিল বেসরকারি হাসপাতালগুলির সংগঠন। বাস্তবেও দেখা গেল সে ঘটনাই সত্যি। স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনের ১৫ দফা অ্যাডভাইজরি মানছে না শহরের সিংহভাগ হাসপাতালই। ইতিমধ্যেই এমন প্রথম সারির ছ’টি হাসপাতালকে নোটিস পাঠানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনের চেয়ারম্যান প্রাক্তন বিচারপতি অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “যে সমস্ত হাসপাতাল আমাদের অ্যাডভাইজরি মানছে না, তাদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা রুজু করা হয়েছে। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাদের জবাব তলব করা হয়েছে।”
[আরও পড়ুন: এগিয়ে বাংলা! গত দু’বছরে রাজ্যে আত্মঘাতী হননি একজন কৃষকও, কেন্দ্রের রিপোর্টে স্বীকৃতি]
নিয়ম না মানলে কমিশন যে কড়া সিদ্ধান্ত নেবে, এমন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান অসীম বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়েছিলেন, ‘‘অ্যাডভাইজরি দেওয়ার পরে তা মানা হচ্ছে না, এরকম কোনও খবর পাইনি। খবর পেলে কমিশনের হাতে নানা অস্ত্র আছে। সেগুলি একে একে প্রয়োগ করা হবে!’’ এবার সে ছবিই বাস্তবায়িত হওয়ার মুখে। সেই পথে হেঁটেই ছয় হাসপাতালের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করল কমিশন।
১৪ দিন আগে খরচের তালিকা তুলে ধরার জন্য প্রতিটি বেসরকারি হাসপাতালকে অ্যাডভাইজরি দিয়েছিল কমিশন। তাতে স্পষ্ট বলা হয়েছিল, খরচের তালিকায় পরিষেবা ফি’র বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে। রিসেপশন ডেস্ক, ক্যাশ কাউন্টার এবং হাসপাতালে ঢোকার মুখেই লাগাতে হবে সেই ডিসপ্লে বোর্ড। এমনভাবে বোর্ডটি টাঙাতে হবে, যেন ছ’ফুট দূরত্ব থেকে খালি চোখেই তা পড়া যায়। কিন্তু বাস্তবে এমন কোনও ডিসপ্লে বোর্ড লাগায়নি কলকাতার ওই নামী ছ’টি হাসপাতাল। কিছু হাসপাতালে ডিসপ্লে বোর্ড লাগানো থাকলেও সেখানে সঠিক রেট দেওয়া নেই। যা দেখে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ কমিশন। কেন কমিশনের সুপারিশ মানা হচ্ছে না? অবিলম্বে হলফনামা দিয়ে জানাতে বলা হয়েছে।