Advertisement
Advertisement
Couple reunited

ভালবাসাকেই স্বীকৃতি, সব বাধা পেরিয়ে আদালতেই চার হাত এক হল দম্পতির

স্বামীকে কাছে পেয়েই জ্ঞান হারান যুবতী। তারপর...

West Bengal Couple reunited in Court room | Sangbad Pratidin
Published by: Suparna Majumder
  • Posted:March 16, 2022 9:45 pm
  • Updated:March 17, 2022 8:45 am

গোবিন্দ রায়: বাস্তবের কাহিনি কখনও কখনও সিনেমার চিত্রনাট্যকেও হার মানায়। এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার এজলাস। ভরা এজলাসে জয় হল ভালবাসার। পরিবারের সম্পর্ক ভাঙার চেষ্টাকে বিফল করে যুগলকে মিলিয়ে দিলেন বিচারপতি। বহুদিন স্বামীর দেখা পেয়ে তাঁর কোলেই জ্ঞান হারালেন স্ত্রী। 

Couple 1

Advertisement

জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের ২৯ ডিসেম্বর মুসলিম শরিয়ত-রেজিস্ট্রি মেনে বিয়ে করেন পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া থানা এলাকার বাসিন্দা রহমাতুন্নেছা খাতুন ও মুর্শিদাবাদ জেলার বাসিন্দা আশিক আলি। ছেলের পরিবার বিয়ে মেনে নিলেও মেয়ের পরিবার শুরু থেকেই আপত্তি জানায়। তা উপেক্ষা করেই সুখে সংসার করছিলেন রহমাতুন্নেছা-আশিক। কিন্তু নবদম্পতির সুখের সংসারে কাঁটা হয়ে দাড়ায় মেয়ের পরিবার। মারধর করে মেয়েকে তুলে নিয়ে যান মেয়ের পরিবারের সদস্যরা। কোনওভাবেই দু’জনকে যোগাযোগ করতে দেওয়া হচ্ছিল না।

Advertisement

[আরও পড়ুন: জানা প্রশ্নের উত্তর বলেনি ‘বন্ধু’, পরীক্ষা শেষে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে বেধড়ক মার সহপাঠীদের]

স্ত্রীকে ফিরে পেতে ২০২২ সালের ১৮ জানুয়ারি কাটোয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেন আশিক। একইসঙ্গে স্ত্রীকে ফেরত পাওয়ার আবেদন জানান। আশিকের আইনজীবী জ্যোতিপ্রকাশ চট্টোপাধ্যায়ের জানান, এই কয়েক মাসের মধ্যে লাগাতার মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার হয়েছে রহমাতুন্নেছা খাতুনের উপর। যাতে প্রেমিক তথা স্বামী আশিক আলির কাছে ফেরার মত বদলান তিনি। কিন্তু রহমাতুন্নেছার মন থেকে আশিককে কেড়ে নিতে পারেননি।

Couple 2

এদিন আদালতের নির্দেশে কাটোয়া থানার পুলিস রহমাতুন্নেছাকে হাজির করে। আইনজীবীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন আশিক আলিও। ভরা আদালতে রহমাতুন্নেছার কাছে বিচারপতি জানতে তিনি স্বামীকে ফিরে পেতে চান কিনা। প্রথমে প্রশ্নের উত্তর দিতে ইতস্তত করেন রহমাতুন্নেছা। রহমাতুন্নেছাকে আশ্বস্ত করেন বিচারপতি। তারপরই স্বামীর কাছে ফিরে যাওয়ার আরজি জানান রহমাতুন্নেছা। সঙ্গে সঙ্গে আদালত কক্ষেই পুনরায় চার হাত এক করার নির্দেশ দেন বিচারপতি।

চার হাত এক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বামীর কোলে ঢলে পড়েন রহমাতুন্নেছা। কারণ, শারীরিক ভাবে তিনি অসুস্থ ছিলেন। তাঁকে উদ্ধার করে কলকাতা হাই কোর্টের মেডিক্যাল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকের পরামর্শে সেখানে রহমাতুন্নেছাকে স্যালাইন জল পান করানো, হাত-মুখ ধোয়ানো থেকে শুরু করে সমস্তটাই করেন আশিক আলি। দু’জনের এই ভালবাসা দেখে এজলাসে উপস্থিত মানুজনরে চোখ জলে ভরে যায়। এজলাসে স্বামী-স্ত্রী এমন ছবি দেখে মেয়ের পরিবারকে ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি মান্থা। এদিনই তাঁদেরকে পুনরায় সংসার শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

[আরও পড়ুন: এ কী কাণ্ড! তারকেশ্বরে প্রতিবেশী যুবকের কান কামড়ে ছিঁড়ে নিল সিভিক ভলান্টিয়ার

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ