দীপঙ্কর মণ্ডল: শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বদলের কথা সরকারিভাবে ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত কোনও স্তরেই শিক্ষক নিয়োগে আর ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া থাকছে না। নিয়োগ হবে শুধুমাত্র লিখিত পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে।
প্রসঙ্গত, প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক স্তরে আগে যে নিয়োগ প্রক্রিয়া ছিল তা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। ইন্টারভিউতে পরীক্ষকরা পেনসিলে নম্বর দিয়ে পরে তা মুছে বাড়ানো হয়েছে বলে ভুরিভুরি অভিযোগ আছে। আদালতের শরণাপন্নও হয়েছেন বহু পরীক্ষার্থী। আর তার ফলে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া জটিল এবং দীর্ঘতর হয়েছে। রাজ্যের স্কুলগুলিতে দ্রুততার সঙ্গে শিক্ষক নিয়োগের কথা ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ২৬ ফেব্রুয়ারি এবিষয়ে নতুন নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর। এনসিটিই-র নিয়ম মেনেই শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। তফসিলি জাতি ও উপজাতি প্রার্থীদের কোন ফি দিতে হবে না। কোন পরীক্ষার্থী তার উত্তরপত্র চ্যালেঞ্জ করতে চাইলে তা তিন বছরের মধ্যে করতে হবে। টেট-এ ইংরেজি এবং মাতৃভাষার ক্ষেত্রে জোর দেওয়া হবে।
[আরও পড়ুন: মায়ের সঙ্গে সাদ্দামের ঘনিষ্ঠতা মানতে পারেননি রিয়া, হলদিয়া কাণ্ডে নয়া তথ্য পেল পুলিশ]
আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা ভোট। তার আগেই হাজার হাজার পদে শিক্ষক নিয়োগের কাজ শেষ করতে চায় রাজ্য সরকার। ইন্টারভিউতে কেউ যাতে স্বজনপোষণের অভিযোগ আনতে না পারেন তা নিশ্চিত করতে এই প্রক্রিয়া তুলে দিল রাজ্য সরকার। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই সরকার ঘোষণা করেছে রাজ্যের তফসিলি জাতি ও উপজাতির মানুষদের ৬০ বছর বয়স পূর্ণ হলেই তাঁরা প্রত্যেকে বার্ধক্য ভাতা পাবেন। এবার শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে তফসিলি জাতি ও উপজাতি প্রার্থীদের শিক্ষক নিয়োগে আবেদনের ফি নেবে না সরকার। শিক্ষামহল মনে করছে, এর ফলে লক্ষ লক্ষ পরীক্ষার্থী উপকৃত হবেন। এর পাশাপাশি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিয়ে আর কেউ প্রশ্ন তুলতে পারবেন না।