Advertisement
Advertisement

Breaking News

east west metro

‘একদিন ইট মেরেছেন, আজ পাটকেল খেলেন মমতা,’ মেট্রো উদ্বোধন নিয়ে খোঁচা দিলীপের

বিজেপি রাজ্য সভাপতির মুখে শোধ-বোধের রাজনীতি।

Dilip Ghosh slammed Mamata Banerjee over EW Metro inauguration

ফাইল ফটো

Published by: Avirup Das
  • Posted:February 13, 2020 7:25 pm
  • Updated:February 13, 2020 8:07 pm

রূপায়ণ গঙ্গ্যোপাধ্যায়: ইট মেরেছিলেন। আজ পাটকেল খেলেন। ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর উদ্বোধনে মমতার নাম না থাকা নিয়ে “শোধ-বোধের” রাজনীতি বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের মুখে। তাঁর কথায়, “রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতাও রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে কোনও উদ্বোধনে আমন্ত্রণ করতেন না।”

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর প্রথম পর্যায়ের উদ্বোধনে আমন্ত্রণ তালিকায় নাম ছিল না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। অনুষ্ঠানের জন্য মঞ্চে অতিথিদের জন্য যে আসন রাখা হয়েছে সেখানেও মুখ্যমন্ত্রীর জন্য কোনও আসন বরাদ্দ ছিল না। এ নিয়ে যখন ক্ষোভ প্রকাশ করছেন রাজ্যের শাসকদলের নেতারা, সেসময়ই তৃণমূল সুপ্রিমোকে একহাত নিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বিষয়টি বড় করে দেখতে নারাজ পদ্ম-নেতা। বরং মমতাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেছেন, রেলমন্ত্রী থাকার সময় বাংলার কোনও প্রকল্পের উদ্বোধনে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে আমন্ত্রণ করেননি মমতা। ইট মারলে পাটকেল খেতেই হবে। দিলীপবাবুর কথায়, ‘ওনাকে না ডাকা হোক। ওনার প্রতিনিধিদের তো ডাকা হয়েছিল।’

Advertisement

প্রসঙ্গত, এদিন ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর উদ্বোধনে হাজির ছিলেন রেলমন্ত্রী পীযুষ গোয়েল, কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। স্থানীয় সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, স্থানীয় বিধায়ক সুজিত বসু এবং বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল রেল। যদিও মুখ্যমন্ত্রী আমন্ত্রণ না পাওয়ায় তাঁর দলের কেউই উপস্থিত না থাকার কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন আগেই। দিলীপবাবুর দাবি ইচ্ছে থাকলেও মমতার বারণে যেতে পারেননি তাঁর দলের নেতারা। তাঁর কথায়, ‘মমতা না করলে তৃণমূলের কারও হিম্মত নেই যে অনুষ্ঠানে যাবে। কারণ সবাই তো চাকরি করে।’ 

Advertisement

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রটোকল মেনে না হলেও সৌজন্যতার খাতিরে মুখ্যমন্ত্রীকে ডাকাই যেত ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর উদ্বোধনে। রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতার স্বপ্নের প্রকল্প ছিল এই ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো।  দিলীপবাবুর কথায়, এটা যদি অসৌজন্যতা হয় তবে তা মমতাই শিখিয়েছেন। নিজের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমাকে তো ডাকেনি। কই আমার তো কষ্ট হচ্ছে না।’ রাজ্যে যে প্রধান বিরোধী দল আপাতত বিজেপি তাও ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছেন দিলীপ। বৃহস্পতিবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে দেওয়া হয়নি জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষকে। তা নিয়ে দিলীপের টিপ্পনি, ‘ঐশী ঘোষকে, কে ঢুকতে দিল না তাতে কিচ্ছু যায় আসে না। এ রাজ্যে বিরোধী দল একমাত্র বিজেপি।’ দিলীপবাবুর দাবি, মাওবাদী ছত্রধরকে জেল থেকে বের করেছে তৃণমূল। বিধানসভার আগে তারা জঙ্গলমহলে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে। ভোটে অশান্তি পাকানোর জন্যেই মাওবাদীদের উপর থেকে মামলা তুলে তাদের জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।

[আরও পড়ুন: সমাবর্তনে আমন্ত্রণ নয় কেন? পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে শোকজ ধনকড়ের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ