Advertisement
Advertisement

Breaking News

অনুপম

‘পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে’, অনুব্রতর সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে সাফাই অনুপমের

ওটা কালী ঠাকুরের ভোগ, মধ্যাহ্নভোজন প্রসঙ্গে মন্তব্য অনুপমের।

Why meeting Anubrata Mandal, explains BJP's Anupam Hazra
Published by: Tanujit Das
  • Posted:April 30, 2019 2:00 pm
  • Updated:August 6, 2021 7:09 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘‘মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছে৷ সমবেদনা জানাতে গিয়েছিলাম৷ পরিকল্পিতভাবে ফাঁসান হচ্ছে৷’’ অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎকে ঘিরে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তাতে জল ঢালতে এভাবেই সাফাই গাইলেন যাদবপুরে বিজেপি প্রার্থী অনুপম হাজরা৷ বীরভূমের তৃণমূল সভাপতির আহ্বানে সাড়া দিয়ে তিনি যে তৃণমূলে যাচ্ছেন না, তাও জানালেন প্রাক্তন এই সাংসদ৷ জানালেন, “সমঝোতা করার হলে আগেই করতে পারতাম।”

[আরও পড়ুন: সামাজিক বিদ্রূপ উপেক্ষা করে লড়াইয়ে মহিলা ক্যাব চালক, সুদিনের অপেক্ষায়]

Advertisement

ভোট-পর্ব চলাকালীন সোমবার বোলপুরে অনুব্রত মণ্ডলের পার্টি অফিসে গিয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন অনুপম হাজরা৷ ‘কেষ্ট কাকা’র পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন তিনি৷ পার্টি অফিসে পাত পেড়ে খান, ভাত-ডাল-মাছ ও প্রিয় আলু পোস্ত৷ সংবাদমাধ্যমের সামনেই অনুপমকে আবারও দলে যোগদান করানোর প্রতিশ্রুতি দেন অনুব্রত মণ্ডল৷ জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলে তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে৷ এরপরই রাজনৈতিক মহলে চড়তে থাকে বিতর্কের পারদ৷ যাদবপুরের বিজেপি প্রার্থীর দলত্যাগ নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়৷ সোশ্যাল মিডিয়াতেও ছড়িয়ে পড়ে সেই জল্পনা৷ অস্বস্তি বাড়ে গেরুয়া শিবিরের৷ সমস্ত জল্পনায় জল ঢালতেই মঙ্গলবার তড়িঘড়ি অনুপম হাজরাকে নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন মুকুল রায়রা৷ সেখানেই স্পষ্ট ভাষায় অনুপম জানান, কয়েকদিন আগে অনুব্রত মণ্ডলের মা, যাঁকে তিনি খুব ভালবাসতেন, তিনি মারা গিয়েছেন৷ তখন তিনি যেতে পারেননি৷ তাই সোমবার সমবেদনা জানাতে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি৷ এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক অভিসন্ধি নেই৷ তাঁকে নিয়ে যে জল্পনা শুরু হয়েছে, তা সংবাদমাধ্যমের তৈরি বলে দাবি করেন তিনি৷ জানান, পরিকল্পিতভাবেই সংবাদমাধ্যমকে আগে থেকে সেখানে ডেকেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল৷

Advertisement

[আরও পড়ুন: সরকারি হাসপাতালে চাকরির টোপ দিয়ে চার লাখ নিয়ে উধাও ‘রুমমেট’! ]

বীরভূমের তৃণমূল সভাপতির বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি জানান, ‘‘বীরভূমের শেষ কথা অনুব্রত মণ্ডল৷ আমি চার বছর আগেই বুঝে গিয়েছিলাম ওনার সঙ্গে কাজ করা সম্ভব নয়৷ সেই কারণেই ওনার সঙ্গে আমার মতবিরোধ৷ এবং ওনার জন্যই দলত্যাগ৷ তাই সমঝোতা করার হলে, আমি আগেই করতাম৷’’ যে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির সঙ্গে, তাঁর ‘সাপে-নেউলে’ সম্পর্ক ছিল, তাঁর বাড়িতে খাবার খাওয়ার বিষয়টিকে এদিন গুরুত্ব দিতে চাননি যাদবপুরের বিজেপি প্রার্থী৷ তাঁর সাফাই, ‘‘ওটা কালী ঠাকুরের ভোগ ছিল৷’’

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ