সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের ছায়া মহানগরে। দক্ষিণ কলকাতার হরিদেবপুরে মৃত স্বামীর দেহ আগলে বসেছিলেন স্ত্রী। ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে অমরকুমার সান্যাল নামে ওই বৃদ্ধে পচাগলা দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। প্রাথমিকভাবে অনুমান, তিন-চার আগেই মৃত্যু হয়েছে ওই বৃদ্ধ। ঘটনায় কৌতুহল তৈরি হয়েছে এলাকায়। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
[গুগল ডুডলে আজ শ্রদ্ধা মহাশ্বেতা দেবীকে]
হরিদেবপুরের একটি আবাসনে স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন বছর আশির বৃদ্ধ অমরকুমার সান্যাল। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, প্রায় পাঁচ বছরে ওই আবাসনে রয়েছেন সান্যাল দম্পতি। স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই ধার্মিক প্রকৃতির ছিলেন। পাড়ায় খুব একটা মিশতেন না। তবে নিঃসন্তান ওই দম্পতি পাড়ায় ভালমানুষ বলে পরিচিত ছিলেন। প্রতিবেশিদের দাবি, প্রায় চার-পাঁচ দিন ধরে অমরবাবু দেখতে পাননি তাঁরা।শনিবার ফ্ল্যাটের দরজায় দিনভর খবরের কাগজ পড়ে থাকায় সন্দেহ হয় প্রতিবেশিদের। সন্ধ্যা থেকে এলাকায় দুর্গন্ধ বেরোতে শুরু করে। এরপরই হরিদেবপুর থানায় খবর দেন প্রতিবেশিরা। দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকি করেও ওই দম্পতির কোনও সাড়া পায়নি পুলিশ। ফোনে করে খবর দেওয়া আত্মীয়দেরও। শেষপর্যন্ত, ফ্ল্যাটের দরজা ভাঙে পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ফ্ল্যাটে ঢুকে দেখা যায়, ঘরের মেঝেতে পড়ে রয়েছে অমর কুমার সান্যালের পচাগলা দেহ। রক্তে ভেসে যাচ্ছে মেঝে। স্বামীর মৃতদেহ আগলে বসেছিলেন স্ত্রী হাসিরানি সান্যাল। ফ্ল্যাটে পুলিশ ঢোকায় রীতিমতো বিরক্ত হন হাসিরানীদেবী। পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সামনেই বারবার মত স্বামীকে ডাকছিলেন তিনি। এমনকী বছর সত্তরের ওই বৃদ্ধা বলেন, তাঁর স্বামী বেঁচে আছেন!
[ব্যাঙ্ককর্মীদের বিয়ে করা যাবে না, আজব ফতোয়ার বিরোধিতায় কর্মীসংগঠন]
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, সম্ভবত তিন-চার আগেই মারা গিয়েছিলেন অমরকুমার সান্যাল। কিন্তু, কীভাবে মৃত্যু হল ওই বৃদ্ধের? তা জানতে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন হাসিরানিদেবী। তাঁর মানসিক সমস্যাও ছিল।
[সরস্বতী পুজোর আগেই ফুলের বাজার অগ্নিমূল্য, চিন্তায় খুচরো ব্যবসায়ী]