Advertisement
Advertisement

শিয়ালদহ থেকে হকার ওঠাতে রাজ্যের সাহায্য নেবে রেল কর্তৃপক্ষ

খুব শীঘ্রই বদলাতে চলেছে অপরিচ্ছন্নতার পরিচিত ছবি!

With The Help Of State Government, Railway Authorities Will Remove Hawkers From Station Premises
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:September 24, 2016 10:34 am
  • Updated:September 24, 2016 10:34 am

স্টাফ রিপোর্টার: রেল চত্বরে হকার সমস্যার সমাধানে রাজ্য যথেষ্ট সহযোগী৷ শুক্রবার পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার ঘনশ্যাম সিং একথা জানিয়ে বলেন, শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরের হকার হঠাতে রাজ্যের সহযোগিতা নেওয়া হবে৷ স্বচ্ছ ভারত অভিযানে এদিন রেলের পক্ষ থেকে ‘স্বচ্ছ সংবাদ দিবস’ পালন করা হয়৷ হাওড়া স্টেশনের বাইরে হকারদের দৌরাত্ম্যের অভিযোগ শুনে জিএম বলেন, পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হকার সরানো হবে৷ তবে তারা শুধুই রেলের আওতায় অভিযান চালাতে সক্ষম৷ জিএম সিং জানান, স্টেশনের বাইরের স্থান রাজ্যের৷ এ নিয়ে তাই রাজ্যের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে৷ আশ্বাসও মিলেছে৷ হাওড়া স্টেশনের ভিতরে দুশোর বেশি হকার রয়েছে৷ শিয়ালদহে আরও বেশি৷ এজন্য স্টেশনগুলি বেশি মাত্রায় নোংরা হচ্ছে৷
এই ধরনের কথা শুনে রীতিমতো বীতশ্রদ্ধ জিএম শ্যাম কুমার বলেন, হাওড়া দেশের মধ্যে পরিচ্ছন্ন স্টেশন৷ স্টেশন পরিচ্ছন্নতা শুধু ‘সপ্তাহ পালন’ অনুষ্ঠানে বন্দি করে রাখলেই চলবে না, সারা বছর এই অভিযান চলবে৷ সংশ্লিষ্ট সপ্তাহে পরিচ্ছন্নতার অভিযান চালানো হয় ৭৮৮টি স্টেশনে৷ স্টেশন নোংরা করার জন্য ওই সপ্তাহে ৩৮৬ জনকে ধরে ১,৩৭,৯৪০ টাকা জরিমানা বাবদ আদায় করা হয়েছে৷ স্টেশন চত্বর নোংরা করা থেকে রুখতে প্রত্যেকটি মানুষকে সচেতন হতে অনুরোধ করেন জিএম৷ তিনি স্পষ্টতই জানান, রেলের হাতে যা ক্ষমতা বা কর্মীবল তাতে এত স্টেশনে নজর রাখা সম্ভব নয়৷ চাই গণ সচেতনতা৷ স্টেশন চত্বর অপরিষ্কার করলে ৫০০ টাকা জরিমানার কথাও তিনি বলেন৷
হকার উচ্ছেদ বা অপরাধ দমনে রেলের হাতে তেমন ক্ষমতা নেই৷ রাজ্যের উপরই নির্ভর করতে হয়৷ হাওড়া স্টেশনের ভিতর অপরিচছন্ন করার জন্য দায়ী দুশোরও বেশি হকার৷ আর এই হকারদের প্রত্যক্ষ মদতদাতা আরপিএফ৷ শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে একথা এক প্রকার স্বীকার করে নেন আরপিএফের কম্যানডান্ট অমরীশ কুমার৷ তিনি বলেন, হকার তুলতে বিভিন্ন এজেন্সির বাধা রয়েছে৷ তবে আরপিএফ-এর সখ্যে হকারি হলে আমাদের জানালে সেই আরপিএফের বিরু‌দ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে৷ পাশাপাশি রেলের হেল্প লাইন সময়ে কাজ না দেওয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ব্যবস্থার উন্নতি করা হবে৷ তিন মিনিটেই ফল মিলবে৷ তবে আরপিএফ ও জিআরপি-র আলাদা-আলাদাভাবে কাজের প্রতি তিনি আগ্রহ প্রকাশ করে বলেন, এতে কাজের বিকেন্দ্রীকরণ হবে৷ সুরক্ষার জন্য ২৮ কর্মীকে নিয়ে তৈরি হয়েছে বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড ও কমান্ডো ইউনিট৷

Advertisement

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ