সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাতিপুকুরে রেললাইনের ধারে মহিলার দেহ ঘিরে রহস্য। মৃতার পোশাক ছিল অবিন্যস্ত। দুর্ঘটনা বলে মনে করা হলেও প্রাথমিক তদন্ত পুলিশের অনুমান খুন করা হয় ওই মহিলাকে। বাইরে থেকে খুন করে রেললাইনের ধারে দেহ ফেলে রাখা হয়। মহিলার মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে দেহ উদ্ধার নিয়ে জিআরপির বিরুদ্ধে টালবাহানার অভিযোগ উঠেছে। দেহর পাশে থাকা ব্যাগ থেকে মৃতার পরিচয় মিলেছে। তারা বাড়ি আসানসোলে।
রিজওয়ানুরের স্মৃতি উসকে দিয়ে ফের পাতিপুকুরে উদ্ধার হল মৃতদেহ। এবারও দেহ মিলল রেললাইনের পাশে। বৃহস্পতিবার সকালে ১ নম্বর আপ লাইন লাগোয়া এলাকার বাসিন্দারা মৃতদেটি দেখতে পান। এগিয়ে যেতে বুঝতে পারেন দেহটি মহিলার। তার পোশাক ছিল এলোমেলো অবস্থায়। দেহ থেকে কিছুটা দূরে মেলে জুতো। জায়গাটি দমদম ও বিধাননগর স্টেশনের মাঝে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, দেহ উদ্ধার নিয়ে বিস্তর টালবাহানা করে দুই জিআরপি। পরে দমদম জিআরপি দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠায়। এলাকার বাসিন্দারা প্রথমে ভেবেছিলেন ট্রেন থেকে পরে ওই মহিলার মৃত্যু হয়। তবে মাথায় আঘাতের চিহ্ন এবং অর্ধনগ্ন অবস্থায় দেহ পড়ে থাকতে দেখে তদন্তকারীদের অনুমান ওই মহিলাকে খুন করা হয়েছে। বাইরে খুন করে দেহ ফেলা হয়। ভারী বস্তু দিয়ে মহিলাকে আঘাত করা হয় বলে পুলিশ মনে করছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ট্রেনের ধাক্কা লাগলে দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যেত। তাই অন্য কিছুর গন্ধ পাচ্ছেন তদন্তকারীরা। দেহর পাশ থেকে মিলেছে দুটি লাগেজ ব্যাগ। যার থেকে মৃতার ভোটার কার্ড মিলেছে। তার নাম সানা পরভিন। বাড়ি আসানসোলে। পুলিশ আসানসোল থানা এবং মৃতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে।
দমদম-বিধাননগরের মাঝে পাতিপুকুর এলাকা বেশ নির্জন। এলাকার বাসিন্দাদের বক্তব্য, এর আগেও দুষ্কর্মর পর লাইনের পাশে দেহ ফেলে রাখার ঘটনা কয়েকবার ঘটেছিল। রেল পুলিশ ঠিকমতো নজরদারি চালালে দুষ্কৃতীরা হয়তো ধরা পড়ত। কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.