কলহার মুখোপাধ্যায়: মহিলা রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল কেষ্টপুর এলাকায়। শুক্রবার সকালে নিজের ফ্ল্যাট থেকেই উদ্ধার হয়েছে ওই মহিলার ঝুলন্ত দেহ। মহিলার দুটি হাতই বাঁধা ছিল, মুখে সেলোটেপ আটকানো ছিল বলে সূত্রের খবর। ঘটনাটি খুন না আত্মহত্যা, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে বাগুইআটি থানার পুলিশ।
[আরও পড়ুন: তৃতীয় দফা ভোটের আগে শহরে ফের উদ্ধার জালনোট, গ্রেপ্তার ১]
সূত্রের খবর, খুশবু কুমারী নামে ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা ওই মহিলা কর্মসূত্রে কেষ্টপুরের এসি ১৬৬ আবাসনের ৩০৪ নম্বর ফ্ল্যাটে থাকতেন। তাঁর স্বামী বিবেক কুমার বোকারোর একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যাপক। কর্মসূত্রে বোকারোতেই থাকেন তিনি। শুক্রবার সকালে সাড়ে সাতটা নাগাদ বোকারো থেকে কেষ্টপুরের ফ্ল্যাটে আসেন বিবেকবাবু। জানা গিয়েছে, তিনি দেখেন ফ্ল্যাটের দরজা খোলা। এরপর ঘরে ঢুকতেই তাঁর নজরে পড়ে ফ্যানে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছেন তাঁর স্ত্রী। এরপর প্রতিবেশীদের খবর দেন তিনি। খবর পাঠানো হয় বাগুইআটি থানায়। ইতিমধ্যে ওই আবাসনের এক নার্স ওই মহিলাকে পরীক্ষা করে বলেন, মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এরপর বাগুইআটি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। পুলিশ সূত্রে খবর, ঝুলন্ত ওই মহিলার দুটি হাত বাঁধা ছিল। মুখে আটকানো ছিল সেলোটেপ। আর তাতেই ধন্দে পুলিশ। তাহলে কি পরিকল্পনামাফিক খুন?
আরও পড়ুন: কাঁচরাপাড়ার বিবেকানন্দ মার্কেটে বিধ্বংসী আগুন, পুড়ে ছাই শতাধিক দোকান
স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে খবর, ওই দম্পতির মধ্যে কোনওদিনই কোনও ব্যক্তিগত সমস্যা ছিল না। তবে বেশ কয়েকটি জায়গায় তাঁদের ধারদেনা চলছিল। আর তা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন খুশবু কুমারী। সেই কারণে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়ে থাকতে পারেন, এমনটাই অনুমান করছেন স্থানীয়রা। তবে সেক্ষেত্রে প্রকাশ্যে আসছে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন। মহিলার মুখে সেলোটেপ আটকানো ছিল। হাত দুটিও বাঁধা ছিল তাঁর। অর্থাৎ বাঁধা হাত নিয়ে আত্মহত্যা কার্যত অসম্ভব। তাই খুনের তত্বও উড়িয়ে দিতে পারছেন না তদন্তকারীরা। তবে তাঁর কোনও শত্রু ছিল না বলেই জানিয়েছেন স্বামী ও প্রতিবেশীরা। রহস্যের জট খুলতে মৃতার স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।