ছবি- প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বনামধন্য কবি। একটি লিটল ম্যাগাজিনের সম্পাদকও বটে। বাংলা ভাষায় তাঁর লেখা কয়েকটি বইও রয়েছে। অনুরাগী পাঠক-পাঠিকাদের অনুরোধে তাঁর বেশ কিছু কবিতা ফেসবুকে আপলোড করেছিলেন তাঁর কন্যা। কিন্তু তার যে এমন পরিণতি হতে পারে, তা স্বপ্নেও ভাবেননি তরুণী।
কবিতাগুলি পোস্ট করার কিছুদিন পরে দেখা গেল তাঁর লেখা কবিতা অন্য নামে ফেসবুকে প্রকাশ করা হচ্ছে। প্রবীণ এই কবি প্রথমে ঘটনাটি ধরতে পারেননি। পরে বিষয়টি বাড়াবাড়ির পর্যায়ে যেতে তাঁর মেয়ে ফেসবুকেই প্রতিবাদ জানান। তারপর প্রতিবাদের ফলস্বরূপ কাব্য-তস্কররা তাঁর জীবন দুর্বিষহ করে ছেড়েছে বলে অভিযোগ ওই কবি তনয়ার। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে সুপার ইম্পোজ ছবি পেস্ট করে একটি এসকর্ট সাইটে ছেপে দিয়েছে ওই সাইবার দুষ্কৃতীরা। তাতে তাঁর ফোন নম্বর পর্যন্ত দিয়ে দিয়েছে। এখন সাইবার দুনিয়ায় তাঁর স্টেটাস দাঁড়িয়েছে একজন কলগার্ল হিসেবে।
চলতি মাসের ১৮ তারিখ থেকে এই বিড়ম্বনা শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে তা প্রকট আকার নিয়েছে। বাধ্য হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন কবি কন্যা। শুক্রবার দমদম থানায় লিখিতভাবে বিষয়টি জানিয়েছেন তিনি। অভিযোগ করেছেন লালবাজার সাইবার সেলের কাছেও। তবে তাঁর অভিযোগ, এখনও পর্যন্ত তৎপরতা দেখায়নি পুলিশ। কবির নাম প্রণবকুমার চট্টোপাধ্যায়। দমদমে থাকেন। তিনি চন্দ্রগ্রহণ নামে একটি লিটল ম্যাগাজিনের সম্পাদক। তাঁর মেয়ে জানিয়েছেন, কয়েকবছর আগে বিনয় মজুমদার স্মৃতি পুরস্কারও পেয়েছেন তাঁর বাবা। বাংলাভাষায় লেখা তাঁর কবিতার পাঠক-পাঠিকা অসংখ্য। এহেন প্রবীণ এক কবিকে এই পরিস্থিতির সঙ্গে যুঝতে দেখে সমালোচনার ঝড় উঠেছে কবি সমাজে। এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে একটি কথাও উচ্চারণ করেননি প্রণববাবু। তাঁর হয়ে লড়াইটা লড়ছেন তাঁর মেয়েই। তিনি জানিয়েছেন, গত এক সপ্তাহ জুড়ে ফেসবুকে তাঁকে ক্রমাগত অপমান করা হচ্ছে। তাঁকে ও তাঁর বাবাকে ‘চোর’ বলে শাসানো হচ্ছে। তিনি মুখ বুজেই ছিলেন। তবে এসকর্ট সার্ভিসে ছবি ও ফোন নম্বর দেওয়ার পর তাঁর আইনজীবীর পরামর্শে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.